স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, সোনারগাঁও উপজেলার একটি বেসরকারি হোটেলে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা মামুনুল হক একজন মহিলাকে নিয়ে অবস্থান করছিলেন। টেলিভিশনে ওই মহিলা কে তা নিজের মুখে স্বীকার করেছেন। তিনি তার স্ত্রী নন। এ বিষয়ে আরো ঘটনা জেনে সবাইকে জানাব।
হেফাজতের সাম্প্রতিক আন্দোলন ঘিরে সংঘটিত ঘটনা নিয়ে জাতীয় সংসদে ৩০০ বিধিতে দেয়া বিবৃতিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, ওই ঘটনার পর দেখলাম ওই রিসোর্টের ওপর আক্রমণ। কেন এই আক্রমণ আমার জানা নেই। সেখানে বিদেশি কয়েকজন ছিল। পুলিশ ও বিজিবি গিয়ে তাদের রক্ষা করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, হঠাৎ করে ওই ধরনের তাণ্ডব কেন, নিশ্চয় এর কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে।
আমরা তদন্ত করে দেখছি। যেই তাণ্ডব করে থাকুক, তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হাটহাজারীর ঘটনা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ভাঙচুর করেছে। আমাদের পুলিশ বিজিবি চরম ধৈর্য্য সহকারে সেগুলো মোকাবেলা করেছেন। আমরা চিহ্নিত করেছি। যারা এই কাজের সাথে সম্পৃক্ত ছিল, আমরা ভিডিও ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করেছি। আমরা সবগুলোই আইনের আওতায় নিয়ে আসছি। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে সবরকমের ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা ২২ জনকে আটক করেছি। এর মধ্যে বিভিন্ন ছবি আমরা দেখেছি। একজন ঘোড়ায় চড়ে। তাকে ধরা হয়েছে। আমরা একজনকে দেখেছি পিস্তল উঁচু করে ফায়ার করছেন। আমরা সবগুলোকে শনাক্ত করেছি এবং ধরছি। আমরা কাউকে বাদ দেব না। আইন অনুযায়ী সবার ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হঠাৎ করেই এরকম… নিশ্চয় উদ্দেশ্য আছে। যারাই করে থাকেন, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার সব প্রচেষ্টা নিয়েছি। ঘটনাগুলো সবগুলোই উদ্দেশ্য প্রণোদিত। স্বাধীনতাবিরোধী চক্র এক হয়ে করে যাচ্ছে। তদন্ত করে উদঘাটন করে মিডিয়ায় জানিয়ে দেব।