নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায় চাচা-ভাতিজার মধ্যে বিরোধের জেরে চাচার শাবলের আঘাতে তার ভাতিজা জিহাদুল ইসলামের (৩৫) মৃত্যু হয়েছে। নিহত জিহাদুল ইসলাম পূর্বধলার ছোট ইলাশপুর গ্রামে আব্দুল হাই এর ছেলে এবং নিহত যুবক পেশায় ট্রাক চালক ছিলেন।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে পূর্বধলা উপজেলা সদরের ছোট ইলাশাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্দেহভাজন হিসেবে দুজনকে আটক করেছে। তারা হলেন- ইসলাম উদ্দিন (৬০) ও মুর্তজা (৫০) এবং দুজনই ছোট ইলাশাপুর গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জিহাদুল ইসলামের সঙ্গে তার প্রতিবেশি চাচা নিজাম উদ্দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ভাড়া নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। এরপর নিজাম উদ্দিন বাড়িতে চলে যান। কিছুক্ষণ পরই নিজাম উদ্দিনের বড় ভাই ও তার ছেলেসহ সাত-আট জন জিহাদুলের বাড়ির সামনে এসে তাকে লক্ষ করে শাবল দিয়ে আঘাত করে।
সরাসরি এই আঘাতে জিহাদুল ইসলাম আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। পরে আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে, কর্তব্যরত কিৎসক জিহাদুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
জিহাদুল ইসলামের মৃত্যুর খবরে স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিবারের সদস্যরা নিজাম উদ্দিন ও তার ভাইয়ের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বসতঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন ধরিয়ে দেন।
পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দিদারুল ইসলাম জানান, ঘটনার সংবাদ পাওয়ার পর পূর্বধলা থানা পুলিশ ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নেত্রকোনা) সজল কুমার সরকার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে দুজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় আনা হয়েছে। পর্ববর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
