দুর্বৃত্তরা অফিস ও শ্রেণিকক্ষের দরজা-জানালা ভেঙে প্রয়োজনীয় নথিপত্র, ল্যাপটপ, প্রজেক্টর, সিলিং ফ্যান, টেবিল ফ্যান, সৌরবিদ্যুৎ ব্যাটারি, বৈদ্যুতিক তার, ঘড়ি, ঘণ্টা, হারমোনিয়াম, সাউন্ড সিস্টেম, প্রিন্টার, ওয়াইফাই রাউটার, হ্যান্ড মাইক, পানির ট্যাপ, রাইস কুকার, ম্যাজিক চুলা ও বিভিন্ন আসবাবসহ গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র এবং নগদ টাকা চুরি করেছে।
ফেনী সদর উপজেলার মধ্য চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহানারা বেগম জানান, ‘প্রতিদিন ক্লাস শেষে দরজা-জানালা বন্ধ করে চলে যাই। পরেরদিন দরজা ভাঙা অবস্থায় চুরি হয়েছে জানতে পেরে থানায় জিডি করেছি। বিদ্যালয়ের ভবনগুলো দীর্ঘদিনের পুরোনো হওয়ায় জরাজীর্ণ এবং এর ফলে চুরি সহজ হয়ে যাচ্ছে।’
গত ১ থেকে ২৭ নভেম্বরের মধ্যে সদর উপজেলার মালীপুর, মাছিমপুর, সুবলপুর, তেতৈয়া, পশ্চিম ফাজিলপুর, কেরোনিয়া শহীদ স্মৃতি ও চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিসকক্ষ ভেঙে প্রতিটি স্কুলে ল্যাপটপ, প্রজেক্টর, রাইডার ও নগদ টাকা চুরি হয়েছে। এছাড়া দক্ষিণ লেমুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তালা কেটে চারটি সিলিং ফ্যান এবং পানির মোটর চুরি হয়েছে।
ফুলগাজী উপজেলার পূর্ব দরবারপুর এবং দাগনভূঞা উপজেলার রামনগর তাকিয়াবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেও মূল্যবান শিক্ষাসামগ্রী চুরি হয়েছে। সোনাগাজী উপজেলার ছাড়াইতকান্দি, রাঘবপুর ও আড়কাইম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ মোট পাঁচটি বিদ্যালয় থেকেও চুরির ঘটনা ঘটেছে।
ফেনী সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খালেদা পারভীন জানান, ‘উপজেলার ১১৩টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ৬টিতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। নিরাপত্তা জোরদার করতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে চুরি হওয়া বিদ্যালয়গুলোর তালিকা পাঠানো হয়েছে।’
ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সজল কান্তি দাস বলেন, ‘উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে নৈশপ্রহরী না থাকায় চুরি হচ্ছে। কাজিরবাগ চেকপোস্টে একজন চোরকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফিরোজ আহাম্মদ বলেন, ‘যে কোনো বিদ্যালয়ে চুরির ঘটনা ঘটলে প্রধান শিক্ষক তা থানায় অভিযোগ করবেন এবং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করবেন। আমরা আশা করি স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেবে যাতে ভবিষ্যতে শিক্ষাসামগ্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।’
