রাজস্ব প্রতিবেদক: দেশের ক্ষেতমজুরসহ গ্রামীণ মজুরদের জীবনমান উন্নয়নে বিভিন্ন দাবিতে নেত্রকোনায় বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতি দুর্গাপুর উপজেলা কমিটির উদ্যোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। সোমবার (১ ডিসেম্বর) এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
এই স্মারকলিপিতে বলা হয়,দেশের প্রায় ৮০ ভাগ মানুষ কৃষির সাথে জড়িত এবং কৃষি কাজে সরাসরি দেশের ক্ষেতমজুররা জড়িত। বর্তমানে দেশে ষাটোর্ধ্ব ক্ষেতমজুরের সংখ্যা অনেক বেশি। এই সকল ক্ষেতমজুররা সারাজীবন দেশের মানুষের মুখের খাবার উৎপাদন করছে, এই ক্ষেতমজুরদের সারা বছর কাজ নেই, তিন বেলা খাবারের ব্যবস্থা নেই,চিকিৎসা নেই, বার্ধক্যজনিত কারণে কাজ করার ক্ষমতা নেই।
ক্ষেতমজুর সমিতি স্মারকলিপিতে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরে। তাদের দাবিগুলো হচ্ছে- অবিলম্বে পল্লী রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা, ষাটোর্ধ্ব মজুরদের বিনা জমায় মাসে ১০ হাজার টাকা পেনশন প্রদান, দেশের সকল বয়স্ক-বিধবা-প্রতিবন্ধিদের বাচাঁর মতো ভাতা দেয়া, দরিদ্র মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা, হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র গুলোতে ডাক্তার, নার্স, ঔষধ সরবরাহ করা, ক্ষেতমজুরের সন্তানের বিনামূল্যে শিক্ষার ব্যবস্থা করা, ক্ষেতমজুরের কর্মক্ষম সন্তানদের কারিগরি ট্রেনিং ও বিদেশে চাকুরি দিয়ে সরকারি খরচে পাঠানো, ক্ষেতমজুরসহ গ্রামীণ মজুরদের দৈনিক মজুরি কমপক্ষে আটশত টাকা নির্ধারণ করে নারী-পুরুষ সকলের জন্য সমভাবে দেয়া, হাট-বাজার-ঘাট ও হাওর-বাওড়-বিল-খাস জলাশষের ইজারা বাতিল করে, প্রকৃত মৎস্যজীবীদের মাছ ধরার অধিকার দেয়া এবং খাসজমি প্রকৃত ভূমিহীনদের মধ্যে বরাদ্দ করা।
এই কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির নেত্রকোনা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও দুর্গাপুর উপজেলা কমিটির সভাপতি কমরেড আলকাছ উদ্দিন মীর, ক্ষেতমজুর সমিতির সভাপতি আজিম উদ্দিন, সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম,উন্নয়নকর্মী রুপন কুমার সরকার,শামসুল হক, বাকলজোড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জমিলা খাতুন, বাবুল মিয়া এবং ছায়েদুল ইসলাম।
