ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার জেলা পরিষদ স্কুল অ্যান্ড কলেজে বেঞ্চ নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে আল আমিন (১৬) নামে এক শিক্ষার্থীকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেছে ওই বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির নাসিম ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী। জানা যায়, ২৭ নভেম্বর দুপুর ১২টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে। মুহূর্তেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। আহত আল আমিন ডিমলা উপজেলার সরদারহাট গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে।
হামলাকারী নাসিম ইসলাম বাবুর হাট এলাকার বাবু বিশ্বাসের ছেলে। ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক আল আমিনের অবস্থা অবনতি হওয়ায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলার পরপরই দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের সহযোগিতায় নাসিম ইসলামকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত নেতা রাব্বি হাসান। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দেয়। তবে রাব্বি হাসানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জেলা পরিষদ স্কুল অ্যান্ড কলেজের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আনোয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নাসিম আমাদের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে যে কাজটি করেছে তা নিন্দনীয়। এর শাস্তি হওয়া উচিত। আমাকে সহযোগিতা করার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। যারা তাকে নিয়ে গেছে তাদের মুখ চিনতে পারব, তবে নাম জানি না।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ডিমলা উপজেলা শাখার সদস্য সচিব হালিমুর রহমান রাসেল বলেন, দিনে দুপুরে ক্যাম্পাসে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটা অবিশ্বাস্য। দ্রুত বিচার দাবি করছি। ছাত্রসমাজকে সতর্ক থাকতে হবে, যেন এমন ঘটনা আর কোথাও না ঘটে। ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলে এলাহি বলেন, ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। হামলাকারী নাসিমের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি বহিষ্কৃত নেতার সম্পৃক্ততাও খতিয়ে দেখা হবে।
