নিজস্ব প্রতিবেদক: মাত্র সাত মাস বয়সী শিশু আলিয়া জন্মগতভাবেই ক্লাব ফুট রোগে আক্রান্ত। দুই পা বাঁকা হওয়ায় দাঁড়ানো কিংবা হাঁটা কোনটাই তার পক্ষে সম্ভব হচ্ছিলো না। দরিদ্র বাবা আশরাফ আলীর পক্ষে মেয়ের উন্নত চিকিৎসা করানোও সম্ভব নয়। দিনে দিনে অবস্থায় অবনতি হচ্ছিল আলিয়ার। চিন্তার যেনো শেষ নেই তার পরিবারের। ফেঁরি করে চা বিক্রিতেই চলে তাদের সংসার, তার মধ্যে মেয়ের চিকিৎসা করানো আদৌ সম্ভব নয়।
গত ৮ নভেম্বর লেঙ্গরা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কেন্দ্রীয় বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালের আয়োজনে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দিয়ে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প শুরু হয়। ওই ক্যাম্পের কথা শুনে চিকিৎসার আশায় আসেন শিশু আলিয়াকে নিয়ে আসেন ওইখানে। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, এটা একটা জটিল রোগ, এখানে চিকিৎসা সম্ভব নয়। উন্নত চিকিৎসা করাতে পারলে তার সন্তান ভালো হয়ে যাবে। এই কথা শুনে যেনো আকাশ ভেঙ্গে পড়ে নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌরসভার ডাকুমারা এলাকার চা বিক্রেতা আশরাফ আলীর মাথায়। তখন থেকেই চোখের জলই যেনো সম্বল হয়ে যায় আশরাফ আলীর পরিাবরের।
পরবর্তিতে কোন কিছু বিবেচনা না করে, এতো মানুষের ভিড় ঠেলে মানবিক নেতা কায়সার কামালকে খুঁজে বের করেন আশরাফ আলী। কান্না জড়িত কন্ঠে তার দরিদ্রতার কথা তুলে ধরেন। তার শিশু সন্তানকে চিকিৎসা করাতে না পারার কথা তুলে ধরেন, নেত্রকোনা-১ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী, মানবিক নেতা ব্যারিস্টার কায়সার কামালের কাছে।
ঠিক সেই মুহূর্তে আশরাফ আলীকে শান্তনা দেন এবং তখন থেকে আলিয়ার চিকিৎসার জন্য মানবতার হাত বাড়িয়ে দেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। শিশু আলিয়ার চিকিৎসার সম্পুর্ণ দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন তিনি। তার উদ্যোগ ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে ১৯ নভেম্বর ময়মনসিংহের ভেনাস হাসপাতালে ক্লাব ফুট রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মো. ইমরান আহমেদ এর তত্ত্বাবধানে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় আলিয়ার চিকিৎসা।
ডাকুমারা এলাকার ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী আহাম্মদ আলী বলেন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল মানবতার সেবায় এক উজ্জ্বল দৃস্টান্ত। এমন অনেক পরিবারে মাথার উপর ছায়া হয়ে দাঁড়িয়েছেন তিনি। শত শত দরিদ্র বাবা মায়ের চোখের পানি মুছে দিয়েছেন তিনি। আলিয়ার বাবা একজন চা বিক্রেতা, তাঁর মেয়ের চিকিৎসা করিয়ে এক নজির স্থাপন করেছেন তিনি। এমপি না হয়েও দলমত নির্বিশেষে যে মানবসেবা করে যাচ্ছেন, আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞ।
ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, আমরা কথায় নয় কাজেই বিশ্বাসী। রাজনীতি যেনো ক্ষমতার দৌড় না হয়, মানুষের কষ্টে পাশে দাঁড়ানোই একজন নেতার আসল পরিচয়। সকলের কাছে দোয়া চাই, ছোট্ট আলিয়া যেন খুব দ্রুতই নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে, সুস্থ পা নিয়ে হাঁটতে পারে এবং নতুন পৃথিবীকে নিজের চোখে চিনতে পারে। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন, আমি যেনো সারাজীবন সাধারণ মানুষের পাশে থেকে এমন মানবিক কাজ গুলো করে যেতে পারি।
