বুধবার (১৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ-দপ্তর সম্পাদক মিরাজুল ইসলাম তুহিন স্বাক্ষরিত পত্রে তাদের কারণ দর্শাতে বলা হয়।
নোটিশ পাওয়া পাঁচ নেতা হলেন- সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শেখ আলাউদ্দিন সোহেল, সদস্য সচিব শেখ এম. আজিজ, যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী রাব্বী হোসেন, আশাশুনি উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হাফিজুল ইসলাম এবং যুগ্ম আহ্বায়ক ফিরোজ আহমেদ জজ।
নোটিশে তাদের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়নের সম্মুখে হাজির হয়ে লিখিত জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গ্রহণযোগ্য জবাব দিতে ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, সাংগঠনিক দায়িত্ব পালনকালে উপজেলা যুবদলের নাম ও অবস্থান ব্যবহার করে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া দলীয় নীতিমালা ও শৃঙ্খলার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এতে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে এবং তৃণমূল কাঠামো বিভ্রান্তির মুখে পড়েছে।
এছাড়া কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রতি অবমাননাকর আচরণ ও বিভ্রান্তি সৃষ্টির অভিযোগও তদন্তাধীন রয়েছে। দলের কঠিন সময়ে নেতাদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড সংগঠনবিরোধী এবং আন্দোলন-সংগ্রামে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
প্রসঙ্গত, ৩ নভেম্বর বিএনপি মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণার পর উল্লিখিত নেতৃবৃন্দ সাতক্ষীরা-৩ আসনে মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে মনোনয়নবঞ্চিত ডা. শহিদুল আলমকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি বেড়ে যায় এবং স্থানীয় পর্যায়ে দলের জনসমর্থনও কমতে থাকে।
