নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোনায় সাংবাদিক লুৎফুজ্জামান আলিফ ফকিরের ওপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে ও আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে।
আহত লুৎফুজ্জামান আলিফ ফকির বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল রূপসী বাংলার নেত্রকোনা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় জেলা প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে নেত্রকোনা সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
জেলা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ও চ্যানেল আইয়ের প্রতিনিধি জাহিদ হাসানের সভাপতিত্বে ঘণ্টা সময়ব্যাপী মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দারজাহান চৌধুরী, জেলা প্রেসক্লাবের যুগ্ম-সাধারণ সাধারণ সম্পাদক নামজমুস শাহাদৎ নাজু, জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ফোরামের জেলা কমিটির সভাপতি সারোয়ার পারভেজ বাবু, হামলার শিকার লুৎফুজ্জামান আলিফ ফকির প্রমুখ।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ নভেম্বর দুপুরে লুৎফুজ্জামান ও তাঁর সহকর্মী শাহজাহান শেখ জেলার দুর্গাপুরের সোমেশ্বরী নদী পাড় হতে একটি ভাড়া মোটরসাইকেলে করে নদীর তেরিবাজার ঘাটে নামেন। এ সময় দুটি মোটরসাইকেলে করে চারজন ব্যক্তি সেখানে যান। তাঁদের মধ্যে দুজন চাপাতি হাতে নিয়ে লুৎফুজ্জামানকে এলোপাতাড়ি কোপিয়ে জখম হয়। সঙ্গে থাকা শাহজাহান শেখ বাধা দিতে গেলে তাঁকেও কোপানোর চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা।
পরে স্থানীয় লোকজন লুৎফুজ্জামানকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সর্বশেষ তিনি রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুর্নবাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) চিকিৎসা শেষে গতকাল বাড়ি ফিরেন। তবে এখনো তিনি পুরোপুরি সুস্থ হননি।
এ ঘটনায় লুৎফুজ্জামান বাদী হয়ে গতকাল (রবিবার) দুর্গাপুর থানায় মামলা করেন।
এতে দুর্গাপুর পৌরশহরের পশ্চিম মোক্তারপাড়া এলাকার মো. ইউসুফের ছেলে ইমরান ইসলাম রওফে ইমন (২৩) ও পুলিশ মোড় এলাকার আবুদল লতিফের ছেলে মো. সৌরভের (২৩) নামউল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও চারজনকে আসামি করা হয়। তবে পুলিশ এখনো কোন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে দ্রুত তাঁদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা সক্ষম হবো।’
