স্টাফ রিপোর্ট:
এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে জিম্মি করে গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় দায়েরকৃত দুই মামলার বিচার কার্যক্রম শেষের দিকে পৌঁছেছে। রোববার ধর্ষণ ও অস্ত্র মামলার যুক্তিতর্ক আদালতে উপস্থাপন হওয়ার কথা থাকলেও বিচারক ছুটিতে থাকায় তা হয়নি। আদালতে একসঙ্গে উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক সম্পন্ন না হলে একাধিক দিনে যুক্তিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে।
সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর আবুল হোসেন জানান, ইতিমধ্যে ২৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে গৃহবধূ, তার স্বামী, ছাত্রাবাসের অভিযুক্তদের জবানবন্দি, এমসি কলেজ অধ্যাপক এবং ওসমানী হাসপাতালের ফরেনসিক চিকিৎসকের সাক্ষ্য অন্তর্ভুক্ত।
গ্রেফতারের পর আটজন আসামিকে পর্যায়ক্রমে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জবানবন্দিতে প্রধান আসামি সাইফুর রহমান, তারেকুল ইসলাম, শাহ মাহবুবুর ও অর্জুন লস্কর ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন। রবিউল ও মাহফুজুর সহায়তার কথা স্বীকার করেন। এ ঘটনায় ছয় আসামির ডিএনএ নমুনা পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মেলে।
ধর্ষণের রাতে ছাত্রাবাসে সাইফুর রহমানের কক্ষে অভিযান চালিয়ে পুলিশ আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার করে এবং সাইফুরসহ আরও দুইজনকে অস্ত্র মামলায় আসামি করা হয়। ২০২০ সালের ৩ ডিসেম্বর এই মামলা দায়ের করা হয়। অভিযোগপত্রে মোট আটজনকে অভিযুক্ত করা হয় এবং ৫২ জনকে সাক্ষী রাখা হয়। পরবর্তী আদালত তারিখে যুক্তিতর্ক শেষে রায় ঘোষণা করা হবে।
