ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:
ভাতিজাকে শাসন করার জেরে চাচার পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় ১০ লাখ টাকার মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার তারুন্দিয়া ইউনিয়নের শ্রীপুর জিথর গ্রামে। ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য উদ্যোক্তা জুয়েল শেখ (৩৫) ওই গ্রামের মৃত নজরুল শেখের ছেলে। এ ঘটনায় শনিবার (৮ নভেম্বর) ভুক্তভোগী জুয়েল শেখ ঈশ্বরগঞ্জ থানায় ছয়জনকে আসামি করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এর আগে শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে তার পুকুরে বিষ প্রয়োগের ঘটনা ঘটে। অভিযোগে অভিযুক্তরা হলেন, শ্রীপুর জিথর গ্রামের মৃত কদ্দুস শেখের ছেলে রতন শেখ (৫০), মানিক শেখ (৪৫), ও খলিল শেখ (৫৫), রতন শেখের স্ত্রী সুফিয়া খাতুন (৪৫) এবং তাদের দুই ছেলে রাকিব শেখ (২৬) ও শাকিব শেখ (১৬)। 
স্থানীয় এলাকাবাসী ও লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পুকুরে বিষ প্রয়োগের ফলে রুই, কাতলা, সিলভার কার্প, শরপুটি ও শিংসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মরে ভেসে উঠে। এর কয়েকদিন পূর্বে ভাতিজা শাকিব শেখের সাথে ডিমের দাম নিয়ে জুয়েল শেখের কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। সেই ঘটনার জের ধরেই রতন শেখ ও তার পরিবার একজোট হয়ে জুয়েলের পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী মৎস্য উদ্যোক্তা জুয়েল শেখ বলেন, কয়েকদিন আগে ভাতিজা রাকিব শেখকে কিছু বিষয় নিয়ে শাসন করেন তিনি।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রতন শেখরা পুকুরের পানিতে বিষ বা কীটনাশক দিয়ে আমার এ সর্বনাশ করেছে। এতে বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী আমার প্রায় ১০ লাখ টাকার মাছ মারা গেছে। আমি এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার চাই। এবিষয়ে জানতে অভিযোগে অভিযুক্ত রতন শেখ, মানিক শেখ ও খলিল শেখের বাড়িতে গেলে কোন পুরুষ লোককে পাওয়া যায়নি। তাদের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও নম্বরগুলো বন্ধ পাওয়া যায়।
এসময় বাড়িতে থাকা মানিক শেখের স্ত্রী মাসিদা বেগম বলেন, রতন শেখের মনিহারী দোকান থেকে বাজার ক্রয় নিয়ে কয়েকদিন পূর্বে জুয়েলদের সাথে দোকানের সামনেই ঝগড়া হয়। তাছাড়া পুকুরে বিষ দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন পুকুরে কে বা কারা বিষ দিয়েছে তা কিছুই জানি না।
এব্যাপারে জানতে চাইলে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম বলেন, যদি কেউ মানুষের সাথে শত্রুতা করে বিষ দিয়ে মাছ নিধন করে থাকে এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষিকে রবিবার অফিসে আসতে বলা হয়েছে। তিনি আসলে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করা হবে।
এ প্রসঙ্গে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। একজন অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
