নিজস্ব প্রতিবেদক : নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় গড়াডোবা ইউনিয়নের বৃচিকনী গ্রামে প্রতিবেশীদের ষড়যন্ত্র ও হুমকির মুখে এক নারী গৃহবন্দি অবস্থায় পড়ার অভিযোগ উঠেছে। পরে ৯৯৯-এ ফোন করার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাদী জোসনা আক্তার (৪০), স্বামী রহমত উল্লাহ একই গ্রামের বাসিন্দা। তাদের প্রতিবেশী জালাল, হৃদয়, জামাল ও সুলতান মিয়া নামের চারজনের বিরুদ্ধে তিনি (বাদী) কেন্দুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
লিখিত অভিযোগে জোসনা আক্তার জানান, বিবাদীদের মধ্যে জামাল মিয়ার সঙ্গে তার জমিজমা সংক্রান্ত মামলা চলমান রয়েছে। প্রায় ১৫ দিন আগে জামাল মিয়ার পুকুরের শিং মাছ মারা গেলে, বিবাদীগণ ষড়যন্ত্র করে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলেন যে, তিনি নাকি বিষ প্রয়োগ করে মাছ মেরেছেন।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২৫ অক্টোবর শনিবার দুপুরে স্থানীয়ভাবে এক সালিশ বৈঠক বসানো হয়। বৈঠকে জোসনা আক্তারকে দায়ী করে ছয় লাখ টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়। তিনি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে বিবাদীগণ তার বসতবাড়ির চারপাশে বাঁশের বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেন। এতে তিনি ও তার ছেলে বাড়ির ভেতরে আটকা পড়ে যান।
পরে তিনি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে কেন্দুয়া থানার এসআই শহীদ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মা-ছেলেকে উদ্ধার করেন ও বেড়া অপসারণ করে দেন। এছাড়া বিবাদীদের কবল থেকে একটি ছাগল উদ্ধার করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
জোসনা আক্তার আরও জানান, বিবাদীরা তাকে নিয়মিত হুমকি দিচ্ছে। জরিমানার টাকা না দিলে তাকে খুন করে ফেলবে। বর্তমানে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং বাড়িছাড়া অবস্থায় রয়েছেন।
এই বিষয়ে কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
