ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) হল ফি ও সেশন ফি কমানোর দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। সোমবার (২৭ অক্টোবর) বেলা ১২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন চত্বরে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় শিক্ষার্থীদের হাতে, ফি কমাও ছাত্রের স্বপ্ন বাঁচাও, শিক্ষার মান বিদ্যালয় খরচের মান বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা ‘পণ্য’ নয় ‘অধিকার’, পাবলিক নাকি প্রাইভেট? হল ফি’র জুলুম থেকে রেহাই চাই, সেশন ফি’র জুলুম থেকে রেহাই চাই, সহ বিভিন্ন লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, “ইবিতে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় হল ফি, সেশন ফি অনেক বেশি, যা প্রায় অসহনীয় পর্যায়ে, এখানে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে মেধাবী শিক্ষার্থীরা এখানে আসে তাদের অনেকেরই তিন বেলা খাওয়ার সামর্থ নাই।মাত্রারিক্ত হল ফি, সেশন ফি রীতিমতো আমাদের উপর জুলুম। আমরা প্রশাসনকে বলতে চাই এধরনের সমস্যা অতিদ্রুত নিরসন করার জন্য।”
আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, “পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা পড়ে যাতে টাকা কম লাগে খরচ কম হয়, ইবিতে পড়তে শিক্ষার্থীরা যেই পরিমাণ খরচ বহন করে, বাংলাদেশের অনেক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এই পরিমাণ খরচ বহন করতে হয়। যেখান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে হল ফি ১২০ টাকা সেখানে ইবিতে হল ফি ৩৩০০ টাকার বেশি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যেখানে সারাবছরে শিক্ষার্থীদের ৩১২৬ টাকা খরচ করতে হয়। সেখানে ইবিতে সারাবছরে দশ হাজার টাকা খরচ করতে হয়। আমরা প্রশাসনকে অনুরোধ জানাচ্ছি মাত্রারিক্ত এসব ফি দ্রুত কমাতে হবে।”
বৈষম্য বিরোধী ছাত্রআন্দোলনের সাবেক সহ-সমন্বয়ক তানভীর মাহমুদ মন্ডল বলেন, “স্বাধীনতার পরবর্তী প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, এটা আসলেই পাবলিক নাকি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এই দ্বিধাদ্বন্দে পড়ি। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় আমাদের এখানে এসব ফি গুলো মাত্রারিক্ত। অসহনীয় পর্যায়ে বলা যায়। বিভিন্ন সময় ছাত্রসংগঠন গুলো ফি কমানোর ব্যাপারে দাবি জানিয়েছে। কিন্তু এসব ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কোনো ভ্রুক্ষেপ দেখি না। আগে হল ফি বছরে একুশশত টাকা দেওয়া লাগতো কিন্তু ২০২২ সালে পর থেকে এই নিয়ম পরিবর্তন করে ৩৩০০ টাকায় বৃদ্ধি করা হয়। যেটা একদমই অযৌক্তিক। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানেরা পড়ালেখা করে। প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই হল ফি, সেশন ফিসহ অন্যান্য যে ফি গুলো আছে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে মিল রেখে আমাদের একটি যৌক্তিক সমাধান দেন।”
