নিজস্ব প্রতিবেদক: শিক্ষক আন্দোলনের কারণে সৃষ্ট শিক্ষার ঘাটতি পূরণে কেন্দ্রীয় শিক্ষক নেতৃবৃন্দের নির্দেশনা অনুযায়ী শনিবারেও শ্রেণি কার্যক্রম চালু রাখার কথা থাকলেও নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল।
শনিবার (২৬ অক্টোবর ২০২৫) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তথ্য নিয়ে জানা যায়, জয়কা সাতাশী উচ্চ বিদ্যালয়, নোয়াদিয়া একতা উচ্চ বিদ্যালয় এবং জল্লী উচ্চ বিদ্যালয়- এই তিনটি প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ বন্ধ।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক শিক্ষক আন্দোলনের সময়ও এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা আন্দোলনে অংশ নেননি। এমনকি কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শ্রেণি কার্যক্রম চালুর নির্দেশনাকেও তারা উপেক্ষা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে জয়কা সাতাশী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তপন কুমার সাহা বলেন, স্কুল খোলা রাখার বিষয়ে আমাদের কেউ অবগত করেনি। সরকারি কোনো লিখিত নির্দেশনা না থাকায় অন্য শিক্ষকরা স্কুল খোলার পক্ষে ছিলেন না। তবে আগামী শনিবার থেকে আমরা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মেনে স্কুল খোলা রাখব।
অন্যদিকে কেন্দুয়া উপজেলা শিক্ষক নেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, তাদের বারবার জানানো সত্ত্বেও কেউ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি, আন্দোলনেও আসেনি। তাহলে কি আমরা ধরে নেব, তারা আন্দোলনের বিপক্ষে ছিলেন?
তিনি আরও বলেন, যদি তারা সত্যিই আন্দোলনে সমর্থন না দিয়ে থাকেন, তবে আন্দোলনের মাধ্যমে অর্জিত সুবিধা ভোগ করার অধিকারও তাদের থাকা উচিত নয়। তারা লিখিতভাবে জানাক যে, তারা এই সুবিধা নিতে চান না।
এ ঘটনায় স্থানীয় শিক্ষক সমাজে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। কেউ বলছেন, কেন্দ্রীয় নির্দেশনার প্রতি অবহেলা শিক্ষক শৃঙ্খলার পরিপন্থী। আবার কেউ মনে করছেন, শিক্ষক ঐক্য রক্ষায় আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা করা প্রয়োজন।
