ইবি প্রতিনিধি:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রদল নেতা জুবায়েদ হোসাইনের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রদল। সোমবার(২০ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবন চত্বর থেকে মিছিলটি শুরু হয়। পরে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবন চত্বর সমাবেশে সমবেত হয়। এসময় জুবায়েদ হত্যায় জড়িতসহ ইবি শিক্ষার্থী সাজিদ হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানান সংগঠনটি।
মিছিলে ‘শিক্ষা -সন্ত্রাস, একসাথে চলে না,’ ‘জুবায়েদ মরলো কেন, ইন্টেরিম জবাব চাই’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে,’ ‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, খুনিদের ফাঁসি চাই,’ ’আমার ভাই মরলো কেন, ইন্টেরিম জবাব চাই,’ ’উই ওয়ান্ট জাস্টিস,’ ‘একশন টু একশন, ডাইরেক্ট একশন,’ ‘নিরাপদ ক্যাম্পাস, ছাত্রদলের অঙ্গীকার,’ ‘দড়ি লাগলে দড়ি নে, খুনিদের ফাঁসি দে,’ ‘জগন্নাথে লাশ পড়ে, ইন্টেরিম কি করে,’ ‘খুন হয়েছে আমার ভাই, ঘরে থাকার সময় নাই,’ ‘ষড়যন্ত্র হয়নি শেষ, সজাগ থাকো বাংলাদেশ’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায় সংগঠনটির নেতাকর্মীদের।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ, সদস্য সচিব মাসুদ রুমী মিথুনসহ প্রমুখ।
মিছিল শেষে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ বলেন, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জুবায়েদকে কে বা কারা হত্যা করেছে। যদিও জুবায়েদের ছাত্রীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। এজন্য প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা সিসি ক্যামেরা ফুটেজে দেখেছি একজন লাল শার্ট পড়া ও একজন ব্ল্যাক শার্ট পড়া ব্যক্তি। যাদেরকে পুলিশ এখনো দেখতে পেয়েছি। আমাদের দাবি অতিদ্রুত তাদের গ্রেফতার করতে হবে।”
এছাড়া তিনি বলেন, “ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাজিদ হত্যার তিন মাস হলেও বিশ্ববিদ্যালয় ও কুষ্টিয়ার পুলিশ প্রশাসন কিছুই করতে পারেনি। তারা ব্যর্থ হয়েছে। যদিও সিআইডি তদন্ত কাজ অব্যাহত রেখেছে। সাজিদের খুনিদের এখনো গ্রেফতার করা হয় নি। আমরা এই সরকারকে আর বেশি সময় দিবো না। এই সকল হত্যাকাণ্ডের সাথে যারা জড়িত তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।”
প্রসঙ্গত, গতকাল সন্ধ্যার দিকে পুরান ঢাকার একটি ভবনের সিড়ি থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জুবায়েদ হোসাইনের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত জুবায়েদ হোসাইন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। এ ছাড়াও তিনি জবিস্থ কুমিল্লা জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি ছিলেন। লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম।