গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
সম্পত্তির লোভে আপন ভাই ভাতিজার অত্যাচার নিপীড়নে জীবন বিষিয়ে উঠেছে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য বৃদ্ধ নূরুন্নবী চৌধুরী নুরুর। ধারাবাহিক অত্যাচার নিপীড়নের কারণে তিনি সাতবার ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে প্রায় পঙ্গু জীবন যাপন করছেন।
গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে বুধবার সংবাদ সম্মেলনে প্রতিকার দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, সেনা সদস্য নূরন্নবী চৌধুরী নুরু চাকরি জীবন শেষ করে ৫২ বছর পর গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের উত্তরপাড়া হরিনাথপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে আসনে। এর আগে তিনি ঢাকায় বসবাস করতেন।
সেনা সদস্য থাকালীন তিনি জার্মান, বসনিয়াসহ বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন। গ্রামের বাড়িতে বসবাস শুরু করার পর থেকে তার আপন বড় ভাই কছির উদ্দিন চৌধুরী, মেহের উদ্দিন চৌধুরী ও ছোট ভাই খায়রুল ইসলাম চৌধুরী এবং তাদের ছেলে জরিদুল হক চৌধুরী, সাদ্দাম, আমিরুল ইসলাম ও তাদের লোকজন সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে এবং সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে বিভিন্নভাবে তার ওপর অত্যাচার শুরু করে। ভাতিজা মাদকাসক্ত জরিদুল হক চৌধুরী, সাদ্দাম ও আমিরুল তাকে প্রায়ই মারপিট করে। এতে তিনি গুরুতর অসুস্থ হলে রংপুর হাসপাতালে ভর্তি হন।
পরে অবস্থার অবনতি হলে সিএমএইচ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থ হন। তখন থেকে তিনি মাঝে মাঝেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ নিয়ে আদালতে মামলা করলে আমিনুল ইসলামকে পুলিশ গ্রেফতার করে। বর্তমানে মামলা বিচারাধীন রয়েছে। ওই মামলায় আগামী ১৯ অক্টোবর হাজিরা নির্ধারিত রয়েছে।
প্রায় ১৩২ বয়সী মা কছিরন নেছা তার সাথে থাকেন। তিনি মায়ের সেবাযত্ন করেন। সেই বৃদ্ধা মায়ের ওপরও অমানবিক অত্যাচার ও মানসিক নির্যাতন করে অভিযুক্তরা। তারা নূরুন্নবী চৌধুরীর যাতায়াতের রাস্তাও বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে তিনি অমানবিকভাবে জীবনযাপন করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অত্যাচার-নিপীড়নের প্রতিকার দাবি করে অত্যাচারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সম্পত্তি রক্ষার দাবি জানান। তিনি এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক, আইন শৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন মহলের সহায়তা কামনা করেন। এব্যাপারে অভিযুক্তদের পক্ষে জরিদুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেন।