মধ্যনগর(সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগর উপজেলার ‘দিঘর রুপেশ্বর’ বিলে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে হামলা ও বিক্ষোভের ঘটনা সহ পুলিশের হাতে স্থানীয় জেলেদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বিল মালিক বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর একটার দিকে মধ্যনগর বাজারে স্থানীয় ৩ শতাধিক লোকজনের উপস্থিতিতে রুপেশ্বর বিলের ইজারাদার, মধ্যনগর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল বাশার,সদস্য কামাল হোসেন,যুবদলের আহ্বায়ক গোলাম সয়ফুল কে অভিযুক্ত করে তাদের শাস্তি ও ইজারাদারদের অত্যাচার বন্ধের দাবিতে এই বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,রুপেশ্বর বিলের ইজারাদার ও স্থানীয় জেলেদের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ সৃষ্টি হয়ে আসছে। গত শনিবার ২৭ অক্টোবর দুই পক্ষের এই বিরোধ পরিশেষে সংঘর্ষে রুপ নেয়।স্থানীয় জেলেদের পক্ষে অভিযোগ এনে বলেন, বাড়ির পাশে খাওয়ার জন্য শখের বসে মাছ ধরতে গেলে ইজারাদারের লোকজন জাল কেড়ে নিয়ে তাকে মারধর করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় জেলে ও কৃষকরা বিলের সীমানা নির্ধারণ এবং ইজারাদারদের অত্যাচার বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।
মিছিল শেষে বিক্ষুব্ধরা ইজারাদারদের অফিসের পেছনে থাকা পাহারাদারের নৌকা থানাঘাটে এনে রেখে দেন। ইজারাদারদের পক্ষে অভিযোগ করে বলেন, মধ্যনগর গ্রামের কয়েকজন সংঘবদ্ধভাবে বিলের মাঝখানে মাছ ধরতে গেলে পাহারাদাররা বাধা দেন। পরে তারা বিল থেকে উঠে এসে সংঘবদ্ধভাবে ইজারাদারের অফিসে গিয়ে নিজাম উদ্দিন নামে এক পাহারাদারকে মারধর করে এবং অফিস ভাঙচুর চালায়।
এ সময় দীর্ঘদিনের জমানো টাকা লুটপাট করার অভিযোগও করেন ইজারাদারপক্ষ। আজ ২৯ সেপ্টেম্বর সোমবার ৩ জন জেলেকে নতুন করে গ্রেপ্তারের পরপরই স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা মধ্যনগর বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও বিএনপি নেতা আবুল বাশার, কামাল হোসেন ও যুবদলের আহ্বায়ক গোলাম সয়ফুলের নামে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকে। দলীয় হাইকমান্ডের কড়া দিকনির্দেশনা থাকা সত্বেও স্থানীয় জনতার সাথে বিএনপি নেতাদের এমন সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি দলের মধ্যে বিরূপ প্রভাব পরবে বলে মনে করছেন সুশীল সমাজ সহ রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইজারাদারদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান,বিষয়টি পরিকল্পিত, রাজনৈতিক ভাবে আমাদের হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্য নিয়েই একটি কুচক্রীমহল এমন নাটক সাজিয়েছে। মধ্যনগর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল বাশার বলেন, অভিযুক্ত যুবদলের আহ্বায়ক গোলাম সয়ফুল বলেন, এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কলিম উদ্দিন মিলন বলেন, বিএনপির সাথে স্থানীয় জনগনের বিরোধ কোনভাবেই কাম্য নয়।যেহেতু বিষয়টি আমি জানি না এই মাত্র শুনলাম সুতরাং তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিবুর রহমান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তৎক্ষণাত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে যায় এবং বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।