নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় নিখোঁজের দুই মাস ২৭ দিন পর নিখোঁজ যুবদল নেতা রফিকুল ইসলাম শামীমের হাড়গোড় উদ্ধার করেছে পুলিশ। হাড়গোড়ে জড়ানো থাকা জামা-কাপড় দেখে এটিকে সনাক্ত করেছে তার পরিবারের লোকজন।
স্ত্রী ও ভাইসহ পরিবারের লোকজনের দাবি- স্থানীয় একটি মাদরাসার অধ্যক্ষ নিয়োগে ঘুষ লেনদেনের বিরোধীতা করায় প্রভাবশালী একটি চক্র শামীমকে হত্যার পর লাশ গুম করে। এ ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তাদের।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কেন্দুয়ায় নিজ গ্রামে শামীমের জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজনৈতিক নেতাকর্মীসহ এলাকার অসংখ্য মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এরআগে গত শনিবার উপজেলার গন্ডা ইউনিয়নের মনকান্দা গ্রামের নিজ বাড়ির পার্শ্ববর্তী বিরান্ধরী বিল থেকে শামীমের হাড়গোড় উদ্ধার করে পুলিশ।
গত ২ জুলাই রাত সাড়ে ১১টার দিকে গন্ডা ইউনিয়নের পাহাড়পুর এলাকা থেকে যুবদল নেতা শামীম নিখোঁজ হন। তিনি ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য ছিলেন।
নিহত শামীমের ভাই সাইফুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় একটি মাদরাসার অধ্যক্ষ নিয়োগে ঘুষ লেনদেনের বিরোধীতা করায় নিজ দলের প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের ইন্দনে শামীমকে হত্যা করা হয়েছে। তখন আমরা পুলিশের সহযোগিতা চেয়েও পাইনি। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
নিহত শামীমের বাবা মো. আক্কাস আলী বলেন, হাড়গোড় দেখে চেনার উপায় না থাকলেও জামা-কাপড় দেখে আমরা নিশ্চিত হয়েছি এটা শামীমের লাশ। তাই যথাযথ নিয়মে জানাযা পড়ে দাফন করা হয়েছে। হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, হাড়গোড় উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়। ডিএনএ রিপোর্টের জন্য আলামত পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে এটি কার লাশ। যদিও পরিবারের লোকজন এটি শামীমের লাশ বলে দাবি করছেন। এ ঘটনায় যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।