ইমন সরকার, ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ভালুকায় শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে উপহারসামগ্রী বিতরণ করেছেন ভালুকা উপজেলা বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক, ভালুকা উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ন আহবায়ক, ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য ও ভালুকা পৌর বিএনপির আহবায়ক, বিশিষ্ট সমাজ সেবক, দানশীল ব্যক্তি, গরীব অসহায় মানুষের বন্ধু আলহাজ্ব হাতেম খান। নিজস্ব অর্থায়নে আয়োজিত এ মানবিক উদ্যোগে প্রায় দুই হাজার পরিবারের হাতে শাড়ি ও লুঙ্গি তুলে দেওয়া হয়।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে নিজের নির্বাচনী এলাকা ভালুকা পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন মন্দিরে এ উপহারসামগ্রী পৌছে দেন তিনি। এ কার্যক্রমকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে দেওয়া ভালোবাসা ও সহযোগিতা হিসেবে উল্লেখ করেন হাতেম খান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আবু তাহের ফকির, জহির রায়হান, শ্রী স্বপন বনিক, পৌর বিএনপির সদস্য সাবেক কাউন্সিলর আমান উল্লাহ তাজুন, ছায়েফুজ্জামান খান ফয়সাল, আমিনুল ইসলাম পাপ্পু, মঞ্জুরুল হক ও আমিনুল ইসলাম প্রমুখ। এছাড়াও পৌর বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাশে দাঁড়িয়ে হাতেম খান আবারও প্রমাণ করলেন, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে রাজনৈতিক নেতারা যদি মানবিক উদ্যোগে এগিয়ে আসেন, তবে সমাজে সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ আরও দৃঢ় হবে।
আলহাজ্ব হাতেম খান তার বক্তব্যে বলেন, “দেশের মাটি ও মানুষের মানবতাবাদী নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গরীব-অসহায় মানুষের প্রকৃত বন্ধু। তিনি প্রতিটি দুর্যোগ ও উৎসবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতা করে আসছেন। শারদীয় দুর্গোৎসব সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য একটি বড় উৎসব। এই উৎসবের আনন্দ যেন প্রতিটি সনাতন ধর্মাবলম্বী পরিবার নির্বিঘ্নে উপভোগ করতে পারে—সেই লক্ষ্যে তার নির্দেশে আমি আপনাদের জন্য কিছু উপহার সামগ্রী নিয়ে এসেছি। এগুলো আপনারা সবাই গ্রহণ করবেন।”
তিনি আরও বলেন, “তারেক রহমান মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টানসহ দল-মত নির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের খোঁজখবর রাখেন। তিনি সব ধর্মের উৎসবে সবার পাশে থাকার চেষ্টা করেন।”
পূজাকে কেন্দ্র করে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে আলহাজ্ব হাতেম খান বলেন, “জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে একটি স্বার্থান্বেষী মহল এ দেশের সাধারণ মানুষ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তাই আমরা সবাই মিলে এ বৃহৎ উৎসবকে নির্বিঘ্ন, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর করার জন্য সর্বদা পাশে থাকব।”
সনাতন ধর্মাবলম্বী উপহারপ্রাপ্তরা বলেন, “আমরা এই উপহার পেয়ে আনন্দিত। এমন মানবিক উদ্যোগ আমাদের উৎসবের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, এ ধরনের কর্মকাণ্ড সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বকে আরও সুদৃঢ় করবে।”
ভালুকায় প্রতিবছরের ন্যায় এবারও হাতেম খানের এ উদ্যোগ স্থানীয় মানুষের মাঝে প্রশংসিত হয়েছে। রাজনৈতিক কর্মসূচির বাইরেও সামাজিক ও মানবিক কর্মকাণ্ডে তার সক্রিয় অংশগ্রহণ স্থানীয় রাজনীতিকে দিয়েছে ভিন্ন মাত্রা।