রুহুল আমিন,ডিমলা(নীলফামারী)
সংবাদ প্রকাশের পর নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার খালিশা চাপানি ইউনিয়নের কাকিনা চাপানি মিলন ২ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) স্বপন কুমার রায়সহ অন্য দুই শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।
সম্প্রতি বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও আঞ্চলিক সংবাদমাধ্যমে বিদ্যালয়ের অনিয়ম এবং দায়িত্বে অবহেলার বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বীরেন্দ্র নাথ রায়ের স্বাক্ষরিত আদেশে শোকজপ্রাপ্ত শিক্ষকদের আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে লিখিত জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বীরেন্দ্রনাথ রায়।
শোকজপ্রাপ্ত অন্য দুই সহকারী শিক্ষক হলেন— লাবু ইসলাম ও পারভীন আক্তার।
গত ১১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ‘অনিয়মই যেখানে নিয়ম: ডিমলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক উপস্থিতির অভাব’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদ্যালয়ে চারজন শিক্ষক থাকলেও একজন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে আছেন। বাকি শিক্ষকরা দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে বিদ্যালয় ছুটি দিয়ে ভবনে তালা মেরে চলে যান। এতে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে, যা সরকারি চাকরি শৃঙ্খলা ও উপস্থিতি বিধিমালা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) স্বপন কুমার রায় এ বিষয়ে দায় স্বীকার করে বলেন, “আমি ওইদিন শিক্ষা অফিসারের নির্দেশে ক্লাস্টার মিটিংয়ে অংশ নিয়েছিলাম। বাকিরা আমাকে না জানিয়ে বিদ্যালয় ছুটি দিয়ে চলে গেছে।”
অন্যদিকে, স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা দায়িত্বে অবহেলা করে আসছেন। নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই ছুটি দেওয়া এখন নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার প্রতি অনাগ্রহী হয়ে পড়ছে এবং সামগ্রিক শিক্ষার পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এলাকাবাসীর দাবি— কেবল শোকজ নয়, অনিয়মে জড়িত সব শিক্ষককে বদলি করে নতুন শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে।