মধ্যনগর(সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধি:
মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির কমিটিকে ‘পকেট কমিটি’ বলে অভিযোগ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির অধিকাংশ । ওই কমিটি বাতিল করে দলের যোগ্য, ত্যাগী, নির্যাতিত ও হামলা-মামলার শিকার সহ তৃনমূলের কর্মীবান্দব নেতাকর্মীদের নিয়ে পুনরায় নতুন কমিটির গঠনের দাবিতে বিক্ষোভ করেন তারা।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর ) দুপুরের দিকে মধ্যনগর বাজারে শতাধিক পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা এমনকি অত্র কমিটির ২৫ জনের মত সদস্য এই কমিটিকে অবৈধ ও পকেট কমিটি আক্ষায়ীত করে মধ্যনগর বাজারে এ বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলটি বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মধ্যনগর উপজেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সভা শেষ উপজেলা বিএনপির ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক তৃনমূল বিএনপির আস্থা আব্দুল কাইয়ুম মজনুর কাছে শতাদিক প্রবীন নবীন ও ত্যাগী নির্যাতিত নেতাকর্মীরা উপযুক্ত প্রমান সহ মৌখিক অভিযোগ করেন। পরে ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির নেতাকর্মীদের মনের ভাষা ও কথা শুনে উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে সমবেদনা জ্ঞাপন সহ লিখিত অভিযোগের পরিপেক্ষিতে অনতিবিলম্বে সাংগঠনিক ব্যবস্তা নেওয়া হবে বলে জানান। উপজেলা বিএনপির আস্থা ১ নং যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ুম মজনুর কথায় সন্তুুষ্ট হয়ে তৃনমূল নেতাকর্মীরা চলে যায়।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, গত ৩ তারিখ রাতে আওয়মালীগের সাবেক এমপি রঞ্জিত ও রতনের খাস অনুসারী দিয়ে ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক সুজনের মনগরা ত্যাগী ও কর্মীবান্দব নেতাদের বাদ দিয়ে উনার নিজস্ব লোকজন ও আওয়ামীলীগ অনুসারী সহ অবৈধ টাকার বিনিময়ে উনি ও ১ নং যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল মিলে নেতাকর্মীদের মতামত ও কাউন্সিল ছাড়াই ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির একটি পকেট কমিটি ঘোষণা দেয়। এতে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের উপেক্ষা করে একতরফা কমিটি করা হয়েছে। বক্তারা আরো বলেন, গত ৭ আগষ্ট বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির কাউন্সিলের নির্ধারিত তারিখ ছিল।
ওইদিন কাউন্সিলে কমিটি ঘোষনা না দিয়ে পরবর্তিতে গত শনিবার সাতুর বাজার সভাপতির ব্যাতি রেখে ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষনা দেয় সেখানে দেখা যায় আহব্বয়াকের নিজ অনুসারী একই গ্রামের ১১ জনের মধ্যে ৮ জন সদস্য ঘোষনা করে যাদের মধ্যে বেশিরভাগ আওয়ামী অনুসারী।এর পর দীর্ঘদিন তালবাহানা শেষে গতকাল রাতে হুট করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষনা দেন।যাতে ঐ একই গ্রামের তার অনুসারী ও আওয়ামী ও হাইব্রীড ২৭ জন সদস্য রাখা হয়।এমন কি সাচ্চা ও ত্যাগী ও কর্মীবান্দব নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে একচেটিয়া ভাবে একটি পকেট কমিটি গঠন করেন বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির সুজন মিয়া।
এমন ‘পকেট কমিটি’ গঠনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান পদবঞ্চিতরা। দ্রুত এই কমিটি বাতিল করে ত্যাগী নেতা-কর্মীদের পদ দেওয়ার দাবি জানান তারা। তা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন বক্তারা। মিয়া,আবুল কাশেম ও মো. ইসমাইল উদ্দিন। এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ুম মজনু বলেন,“আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। শিগগিরই দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বসে বিষয়টি আলোচনা করা হবে। যাচাই-বাছাই শেষে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।