ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার উচাখিলা বাজারের ড্রেন বন্ধ করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে মাসিক চুক্তিতে ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এতে অবৈধ স্থাপনার ফলে জলাবদ্ধতায় বাজারে আসা জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। এ ব্যাপারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে বাজারের জায়গা দখল মুক্ত করার জন্য বাজার ইজারাদার সাইফুল ইসলাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার ভূমি ও ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগ স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিগত ২০২৪ সালের ৫আগষ্টের পূর্বে আওয়ামী স্বৈরাচার এজেন্টরা সরকারি শেড ঘর মাছ মহাল হতে মরিচ মহাল পর্যন্ত দুই পাশের রাস্তা ও ড্রেন ভরাট করে অবৈধ স্থাপনা নির্মান করে মাসিক চুক্তিতে ভাড়া আদায় করে আসছে। মাছ বাজার শেড ঘর সংলগ্ন সরকারি টিউবওয়েল সরিয়ে এর উপর অবৈধ দোকান নির্মাণ করে ভাড়া আদায় করছে। ড্রেন বন্ধ করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই বাজারে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে, এতে বাজারে আসা সাধারণ ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের জন্য চরম দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সরকারি টিউবওয়েলের উপর দোকান নির্মাণ করে ব্যাবসা করার বিষয়ে ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এখানে টিউবওয়েল ছিল কিনা জানা নাই। পূর্বের ভিটার আনোয়ারের ভাই আব্দুল মালেকের কাছ থেকে প্রতি মাসে ১হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে আমি এখানে ৪/৫ বছর যাবত ব্যবসা করে আসছি।
এখনো আব্দুল মালেককে ভাড়া দিচ্ছি। এবিষয়ে আব্দুল মালেকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে খোঁজে পাওয়া যায়নি এবং মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। তাই তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এবিষয়ে পূর্বের ইজারাদার চাঁন মিয়া জানান, তিনি যখন বাজারের ইজারাদার ছিলেন তখন দোকানগুলো থেকে খাজনা নেয়া হতো। আর শুধু মাত্র চা দোকানদার জালালের কাছ থেকে মাসিক ভাড়া নেয়া হতো।
২ বছর যাবত কোন দোকান ভাড়া বা খাজনা তিনি নেন না বলে জানান। এবিষয়ে বাজার ইজারাদার সাইফুল ইসলাম জানান, ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের উচাখিলা তোয়া বাজার সরকারি ডাকে ২৬ লক্ষ টাকা মূল্যে ইজারাদার হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি। কিন্তু পূর্বের ইজারাদারের সময় কিছু অসাধু ব্যক্তি সরকারি জায়গা দখল করে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। তিনি বাজারটি ইজারাদার নেয়ার পর প্রশাসন বরাবর লিখিত আবেদন করেও বাজারটি অবৈধ দখল মুক্ত করতে পাচ্ছেন না। এতে তিনি রাজস্ব আদায়ে ব্যপক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন।
তিনি বিষয়টি দ্রুত সমাধানের দাবি জানান। সহকারী কমিশনার (ভূমি) সালাউদ্দিন বিশ্বাস বলেন, সরেজমিন দেখে প্রতিবেদন দিতে আবেদনের কপি নায়েবের কাছে পাঠানো হয়েছে। ওখান থেকে প্রতিবেন আসলেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানজিদা রহমান বলেন, শুধু উচ্ছেদের কাজ করলে সেটা পুনরায় বেদখল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই উচ্ছদ আর ড্রেনেজ নির্মাণের কাজ এক সাথে করার পরিকল্পনা নিয়েছি। দ্রুতই সেটা বাস্তবায়ন করা হবে।