মধ্যনগর প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের নবগঠিত মধ্যনগর উপজেলা বিএনপির ২১ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির মধ্যে ১৮ জনের সাক্ষরিত রেজোলিউশনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যুগ্ম আহ্বায়ক মমিনুল হক বেনু মাদকদ্রব্য চোরাকারবারি ও চাঁদাবাজির সাথে জড়িত প্রমাণিত হওয়ায় তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করার জন্য জেলা ও কেন্দ্রীয় বিএনপির কাছে লিখিত আবেদন পাঠানো হয়েছে।
মধ্যনগর উপজেলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মমিনুল হক বেনুর বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, দলের নাম ভাঙিয়ে রাজহংস হাউসবোট দখল করে মালিকের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করা সহ নানা অভিযোগ প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি তার সদস্যপদ আপাতত স্থগিত করেছে। এ সংক্রান্ত একটি লিখিত নোটিশ ইতোমধ্যেই উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির কাছে পৌঁছেছে।
আগামী দিনের বিএনপির কর্ণধার তারেক রহমান স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন— দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করে এমন কোনো অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তি বা চাঁদাবাজকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে। সেই আলোকে মধ্যনগর উপজেলা বিএনপির দাবি, যুগ্ম আহ্বায়ক মমিনুল হক বেনুকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতে হবে। অভিযুক্ত মমিনুল হক বেনুর সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।
মধ্যনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ুম মজনু বলেন, মমিনুল হক বেনু মাদকদ্রব্য চোরাকারবারি ও চাঁদাবাজির সাথে জড়িত থাকার কারণে আমরা ২১ সদস্যের মধ্যে ১৮ জন মিলে রেজোলিউশন করে জেলা ও কেন্দ্রীয় কমিটিতে পাঠিয়েছি।
জেলা কমিটি ইতোমধ্যেই তার সদস্যপদ স্থগিত করেছে, আশা করি দ্রুতই স্থায়ী বহিষ্কারাদেশ চলে আসবে। মধ্যনগর উপজেলা আহ্বায়ক মোঃ আবু হায়াত বলেন, রাজহংস হাউসবোট দখল ও চাঁদা দাবির অডিও-ভিডিওসহ সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় জেলা কমিটি তাকে সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে। যেহেতু তার অনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রমাণিত, তাই আমরা স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য রেজোলিউশন পাঠিয়েছি।
সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব এডভোকেট আব্দুল হক বলেন, আপাতত তার সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে। উপজেলা কমিটির রেজোলিউশনসহ মমিনুল হক বেনুর বিষয়ে কেন্দ্রীয় কমিটিতে সুপারিশ পাঠানো হবে। আশা করি কেন্দ্রীয় কমিটি তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করবে।