মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ১নং বরমচাল ইউনিয়ন বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বিতর্কিত ব্যক্তি সাখাওয়াত হোসেন খাঁনকে দলীয় সকল পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে উপজেলা বিএনপি। মঙ্গলবার (১২ই আগস্ট) সন্ধ্যায় উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক রেদওয়ান খাঁন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক বদরুল হোসেন খাঁন ও যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল জলিল জামাল স্বাক্ষরিত একটি চিঠির মাধ্যমে সেটি নিশ্চিত করা হয়।
চিঠির একটি ফটোকপি গণমাধ্যমেও পাঠানো হয়। অনুলিপি জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, সোমবার ১১ই আগস্ট বিএনপি নেতা সাখাওয়াত হোসেন খাঁনকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে লোকজ করে ২৪ ঘন্টার মধ্যে জবাব প্রদানের জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু ২৪ ঘন্টা অতিবাহিত হওয়ার পরও সাখাওয়াত হোসেন খাঁন কোন জবাব প্রদান না করায় তাকে ১নং বরমচাল ইউনিয়ন বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও ওয়ার্ড কমিটির সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।
এছাড়া আগামী ১৯শে আগস্টের মধ্যে পুনরায় সুস্পষ্ট জবাব প্রদানের জন্য বলা হয়। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়। এদিকে গত ১০শে আগস্ট বিকেলে কুলাউড়া শহরের একটি রেষ্টুরেন্টে বরমচাল ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আজমল আলী শাহ্ সেন্টুর উপস্থিতিতে বরমচাল ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি’র পাঁচজন নেতাসহ বিএনপি’র বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে মনগড়া অভিযোগ এনে অপপ্রচার করে বিভিন্ন বক্তব্য দেন বিএনপি নেতা সাখাওয়াত হোসেন।
সেই বক্তব্যে টি দৃষ্টিগোচর হয় জেলা ও উপজেলা বিএনপি’র। জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দের নির্দেশ অমান্য করে এবং দলের গঠনতন্ত্র ভঙ্গ করে স্যোসাল মিডিয়ায় মনগড়া বক্তব্য দিয়ে বরমচাল ইউনিয়ন বিএনপি’র সম্মেলন ও কাউন্সিলকে বাঁধাগ্রস্থ করার হীন মন্যতার কারণে সাখাওয়াত হোসেন খানের বিরুদ্ধে কেন দলীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না মর্মে ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ মঙ্গলবার সকাল ১১টার মধ্যে জবাব দেয়ার জন্য বলা হয়েছিল।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নে আজমল আলী শাহ্ সেন্টু নামক এক যুবলীগ সভাপতিকে সাত নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি’র কমিটিতে স্থান করে দেবার কথা বলে কয়েক লক্ষ টাকা নিয়ে ইউনিয়ন কমিটিতে স্থান করে দেন বিএনপি নেতা সাখাওয়াত হোসেন। এ ঘটনায় ফুঁসে উঠে স্থানীয় বিএনপি’র ত্যাগী নেতাকর্মীরা। এ নিয়ে দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকা, অনলাইন পোর্টাল, স্থানীয় গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে সমালোচনার ঝড় উঠলে জেলা বিএনপি’র নির্দেশে আজমল আলী শাহ্ সেন্টু নামক ওই যুবলীগ নেতাকে বহিস্কার করে বরমচাল ইউনিয়ন বিএনপি।
যেটি দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েন বিএনপি নেতা সাখাওয়াত হোসেন। টাকা ফেরত দেয়ার ভয়ে তিনি ওই যুবলীগ নেতাকে নিয়ে বিএনপি’র নেতাদের বিরুদ্ধে নানান কুৎসা ও অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছেন। কুলাউড়া উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক বদরুল হোসেন খান বলেন, দলের গঠনতন্ত্র অমান্য করে স্যোসাল মিডিয়ায় মনগড়া বক্তব্য দিয়ে বরমচাল ইউনিয়ন বিএনপি’র সম্মেলন ও কাউন্সিলকে বাঁধাগ্রস্থ করার কারণে সাখাওয়াত হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেই নোটিশের কোন জবাব না দেয়ায় তাকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে মর্মে জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব নিকট চিঠি পাঠানো হয়েছে।