নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রায় দুই বছর সংসার করার পর পারিবারিক চাপে পড়ে স্ত্রীকে ফেলে রেখে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন স্বামী। বাধ্য হয়ে স্বামীর বাড়িতে অবস্থান নেন এবং স্ত্রী’র স্বীকৃতির দাবিতে অনশন শুরু করেন তরুণী। খবর পেয়ে স্বামী, শ্বশুর-শ্বাশুরীসহ পরিবারের সদস্যরা ঘরে তালা লাগিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। ওই তরুণীকে মারধর ও বাড়ির বাইরে বের করে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে।
এমন ঘটনা ঘটেছে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের হিড়িভিটা গ্রামে।
গত দুদিন ধরে শুক্রবার (১ আগস্ট) পর্যন্ত স্বামীর বাড়িতে অনশন ও অবস্থান নেয়া তরুণী হলেন পূর্বধলার ভিতরগাঁও গ্রামের ফজলুল হকের মেয়ে সুমি আক্তার। তার স্বামী হলেন একই উপজেলার হিড়িভিটা গ্রামের মো. আলাল মিয়ার ছেলে মো. হানিফ মিয়া।
ভুক্তভোগী তরুণীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৯ জুন পারিবারিক সম্মতি ছাড়াই তিন লাখ টাকা কাবিনে মো. হানিফ মিয়ার ও ওই তরুণী ইসলামী শরিয়ত মতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। পরে তারা ময়মনসিংহ শহরের সানকিপাড়ায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে দাম্পত্য জীবন শুরু করেন। সুখেই চলছিল তাদের সংসার। তবে সুমি গরিব ঘরের মেয়ে হওয়ায় স্বামী হানিফের পরিবার বিয়েটি মেনে নিতে পারেনি।
প্রায় দুই বছর সংসার করার পর পারিবারিক চাপে পড়ে হানিফ মিয়া স্ত্রীকে ফেলে রেখে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। বাধ্য হয়ে সুমি ৩১ জুলাই স্বামীর বাড়িতে অবস্থান নেন এবং স্ত্রী’র স্বীকৃতির দাবিতে অবস্থান ও অনশন শুরু করেন। খবর পেয়ে হানিফের পরিবারের সদস্যরা ঘরে তালা লাগিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। পরে সুমিকে মারধর করে বাড়ির বাইরে বের করে দেওয়ার অভিযোগও উঠে।
সুমি আক্তার আরও বলেন, ”আমি এখন না পারছি বাবার বাড়িতে যেতে, না পাচ্ছি স্বামীর স্বীকৃতি”। বিয়ের প্রমাণ স্বরূপ তিনি কাবিননামা দেখান এবং প্রশাসনসহ গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে ন্যায়বিচার চান।
এ বিষয়ে মো. হানিফ বা তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে কাউকে পাওয়া যায়নি। তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
তবে মো. হানিফা মিয়ার ফুফা তিনি অবস্থান নেওয়া তরুণীকে মারধর করার বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পূর্বধলা থানার ওসি মো. নুরে আলম বলেন, এখনো কোনো পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।