টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে “সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে নাগরপুর উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সন্মেলন করেছে মো. মিজানুর সিকদার ও তার ভাই। ২০ জুলাই বিকেলে, উপজেলার ভাদ্রা ইউনিয়নের পাতিলাপাড়া গ্রামের আবজালের ছেলে মিজানুর ও সহোদর ভাই কোহিনূর সংবাদ সন্মেলনে বলেন, গত ১৭জুলাই জাতীয় দৈনিক জবাব দিহি পত্রিকার ৩য় পৃষ্ঠায় প্রকাশিত “নাগরপুরে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হয়রানিমুলক মামলার” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি মিথ্যা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। প্রকাশিত সংবাদটিতে আমাদের সাথে কোন প্রকার কথা না বলেই আমাদের বক্তব্য মিথ্যে ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এ ঘটনার আমরা তিব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানাই। সাংবাদিকতা একটি মহৎ পেশা।

কিছু লোক আজ এ পেশাটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। দপ্তিয়র ইউনিয়নের সারোটিয়াগাজী গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে অভিযুক্ত মাসউদুর রহমানকে নির্দোষ প্রমাণিত করার জন্য আমাদের সঙ্গে কথা না বলে এবং সত্যতা যাছাই না করে সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছে। মাসুদুর রহমান ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের একজন পদধারী নেতা। মাসউদুর রহমান নাগরপুর উপজেলা ওলামা লীগ, নাগরপুর শাখার সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সহ সভাপতির পদে রয়েছে। এছাড়াও সে নিজেকে সাংবাদিক দাবি করে এলাকায় পরিচয় দেয়।
মাসউদুর তার আওয়ামী লীগের পদ ব্যাবহার করে নানা ধরনের অপকর্ম ও চাঁদাবাজীর সাথে জড়িত ছিলো। এ ছাড়াও আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকা কালীল সময়ে আমাদের মারপিট করে আমাদের বিরুদ্ধেই মামলা করে জেল-জুলুম খাটিয়েছে।এর ধারাবাহিককতা এখনো অব্যহত রেখেছে।মাসউদুর রহমান নিজ অপকর্ম থেকে রেহাই পেতে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে সাংবাদিকদের দিয়ে দৈনিক জবাবদিহি পত্রিকা ও বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে এমন মিথ্যে সংবাদ প্রকাশ করে আমাদের সামাজিক মর্যাদা ও আইনগত অধিকার ক্ষুন্ন করেছে। মাসউদুর স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপি নেতার বাড়িতে ভাড়া নিয়ে দোকান করেছিল এবং গ্রামের রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগের পদ পদবী ও ছবি দিয়ে ব্যানার পোস্টার লাগিয়ে রেখেছিল। সে এলাকায় কাজী পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ভাবে টাকাপয়সা হাতিয়ে নেয়।
বাল্য বিবাহ করানোর মত কাজেও সে সম্পৃক্ত। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিবাহবিচ্ছেদের সময় দেনমোহরের টাকা মেরে দেয়ার নজিরও রয়েছে। সে আমাদের মারপিট করার পর আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে থানায় মামলা করতে দেয়নি। তখন থানা পুলিশ আমাদের মামলা গ্রহণ করেনি। বাধ্য হয়ে আমরা কোর্টে মামলা করলে, মাসউদুর নিজেকে নির্দোষ প্রামান করতে মিথ্যে প্রমান আদালতে উপস্থাপন করে এবং বর্তমান থানা পুলিশের তদন্তে তা মিথ্যে প্রমানিত হয়। এছাড়াও ভাদ্রা ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বেল্লাল উদ্দিন এবং নাগরপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. এরশাদ মিয়ার বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে মিজানুর বলেন, মারামারির ঘটনায় ওনাদের কাছে মাসউদুর উপস্থিত ছিলোনা, এমন কথা আমি বা আমরা বলিনি।
যদি মাসউদুর ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত না থাকতো তবে কেন আমরা মামলায় তাকে বিবাদী করে মামলায় নাম দেবো? মাসউদুর গং আমাদের বসতবাড়িতে এসে হামলা করে আমার ভাতিজাকে কোপ দিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করেছিল। ভাতিজার মাথায় ৮ টা সেলাই দিতে হয়েছিল। এ ঘটনার পর মাসউর আমার কাছে ১ লাখ টাকা দাবি করে বলে, টাকা দিলে সব কিছু মিটিয়ে ফেলবো। আমি গরীব মানুষ এতো টাকা কোথা থেকে দেবো। টাকা না দেয়ার সে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে জেল খাটিয়েছে। এঘটনার আমরা তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই সেই সাথে এ ঘটনায় মাসুদ সহ জড়িত সকলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।