পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি:
বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু রোগীদের সহায়তা করতে এগিয়ে এসেছেন কর্নেল (অবঃ) হারুনুর রশিদ খান। বুধবার (০৯ জুলাই, ২০২৫) সকাল ১১টায় তিনি তাঁর ব্যক্তিগত অর্থায়নে ক্রয়কৃত স্যালাইন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে তিনি পাথরঘাটা উপজেলার ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবায় সহায়তা প্রদান করলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কর্নেল (অবঃ) হারুনুর রশিদ। স্যালাইন প্রদান করার পরে কর্নেল (অবঃ) হারুনুর রশিদ খান বলেন, “বেতাগী আমার জন্মস্থান, আমি এই মাটির সন্তান। বরগুনা জেলায় বর্তমানে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়েই চলেছে। অনেকেই এই রোগে আক্রান্ত হয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে আমার নিজস্ব উদ্যোগে এই স্যালাইনগুলো দিচ্ছি। এটি হয়তো বড় কিছু নয়, তবে আমি বিশ্বাস করি সচেতনতা ও সহযোগিতার মাধ্যমেই আমরা এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারি।”
তিনি আরও বলেন, “ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনগণের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুধু সরকার বা হাসপাতাল নয়, আমাদের প্রত্যেককেই নিজেদের অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল হতে হবে। আশেপাশে পানি জমে থাকা, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ এসবই ডেঙ্গুর বিস্তারে সহায়ক। তাই আমাদের প্রত্যেকেরই নিজ নিজ এলাকায় সচেতনতা তৈরি করতে হবে।” স্যালাইন হস্তান্তর কালে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদ বরগুনা জেলা শাখার সভাপতি মোঃ হাফিজুর রহমান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারিবৃন্দ।
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে ডাঃ রাখাল বিশ্বাস কর্নেল হারুনুর রশিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। তিনি বলেন, ডেঙ্গু চিকিৎসায় স্যালাইন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, বিশেষ করে রোগীর শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিলে স্যালাইন তা পূরণে সহায়ক হয়। এই মুহূর্তে স্যালাইনের চাহিদা অনেক বেশি, তাই এমন সহযোগিতা নিঃসন্দেহে হাসপাতালের জন্য কার্যকর ও সময়োপযোগী।
অনুষ্ঠানের শেষ দিকে কর্নেল হারুনুর রশিদ উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, “সমাজের সামর্থ্যবানদের এগিয়ে আসা উচিত। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোই মানবিকতা।” ডেঙ্গুর মতো ভাইরাসজনিত রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই ধরণের ব্যতিক্রমী সামাজিক উদ্যোগ এলাকায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
কর্নেল হারুনুর রশিদের এ প্রচেষ্টা বেতাগীর মানুষের হৃদয়ে বিশেষভাবে স্থান করে নিয়েছে। সমাজের অন্যান্য ব্যক্তিদের কাছেও এটি অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করছেন অনেকেই।