দুর্গাপুর (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি-
বিগত দুই দশক বাংলাদেশের রাজনীতিকে কুলষিত করেছে হাসিনা, রাজনীতিকে ধ্বংস করেছে আওয়ামীলীগ — এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তিনি বলেন, “বর্তমান বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে রাজনীতিবিদদের প্রতি বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের আস্থা প্রতিষ্ঠা করা। বিএনপি সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে। গত ১৭-১৮ বছর দেশের রাজনীতিবিদ যারা দেশ চালিয়েছে তাদের প্রতি মানুষ আস্তাশীল ছিল না।
তাদের প্রতি ছিল ঘৃণা। তাইতো এখন তারা দেশে থাকতে পারছে না। আমার বড় চ্যালেঞ্জ ছিল বিশেষ করে দুর্গাপুর কলমাকান্দায় চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলাম যেন এলাকার মানুষ বিএনপির প্রতি আস্থাশীল হয়। আমরা দেখাতে চাই, বিএনপি আর্তমানবতার সেবায় কাজ করেই মানুষের পাশে দাঁড়াবে।
এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।” শনিবার (২৮ জুন) দুপুরে নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে এসব কথা বলেন তিনি। সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় নির্বাহী কমিটি ময়মনসিংহ বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শরীফুল আলম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ, নেত্রকোণা জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আনোয়ারুল হক, সদস্য সচিব ড. রফিকুল ইসলাম হেলালিসহ জেলা এবং উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, “বিএনপি এমন একটি দল যে দল উৎপাদনের রাজনীতি বিশ্বাস করে।
শহীদ জিয়া যখন বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী দল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তখন তিনি বলেছিলেন বিএনপি উৎপাদনের রাজনীতি করবে তাই আজকে বিএনপি পরিবার, প্রত্যেকটা নেতাকর্মী সে লক্ষ্যে রাজনীতি করে যাচ্ছে। আমরা সবাইকে সাথে নিয়ে দলের পক্ষ থেকে যতটুকু পারছি কাজ করছি। বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ” গত ৫ আগস্টের পর জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে দুর্গাপুর কলমাকান্দায় বিভিন্ন কর্মকান্ড করেছি।
তার মধ্যে শহীদদের আর্থিক অনুদান, বাড়িঘর মেরামতের জন্য সহায়তা, ঈদ উপহার ও কুরবানী দেওয়ার জন্য পশু। সেই সাথে জনাব তারেক রহমান সাহেব বলেছেন আত্ম দূর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে আমরা সেই স্লোগানকে ধারণ করে মেডিকেল ক্যাম্প, অসহায় দুস্থদের পাশে দাঁড়ানো, ক্যান্সার সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত শিশু, যুবক থেকে বৃদ্ধের চিকিৎসা সেবা প্রদান, মানুষের দুর্ভোগ কমাতে সোমেশ্বরী নদীর উপর কাঠের সেতু নির্মাণসহ বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করে যাচ্ছি। তিনি দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান — তৃণমূল পর্যায়ে জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়ে মানুষের আস্থা অর্জনের লক্ষ্যে কাজ করতে।