নিজস্ব প্রতিবেদক: হাজং বিদ্রোহ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, টংক আন্দোলন, ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন, পাকিস্তানি জুলুম বৈষম্য ও নিপীড়ন, ১৯৬৪ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনসহ বিভিন্ন আন্দোলনের কালের সাক্ষী কুমুদিনী হাজং এর ৯৫তম জন্মদিন পালিত হয়েছে।
শনিবার (২৮ জুন) সন্ধ্যায় নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এ জন্মদিন পালিত হয়।
এ উপলক্ষে নানা আয়োজনে মহিয়সী নারী কুমুদিনী হাজং এর ৯৫তম জন্মদিনের কেক কাটা হয়। পরবর্তীতে আলোচনা সভায়, একাডেমির নির্বাহী সদস্য ও আদিবাসী নেত্রী সন্ধ্যা রানী হাজং এর সভাপতিত্বে ও একাডেমি নৃত্য শিক্ষক মালা মার্থা আরেং এর সঞ্চালনায় বক্তব্যে রাখেন, জাতীয় হাজং সংগঠনের সভাপতি পল্টন হাজং, সহ-সভাপতি রুপক হাজং, সাধারণ সম্পাদক নয়ন হাজং, বাংলাদেশ হাজং ছাত্র সংগঠনের সভাপতি অন্তর হাজং, সমাজকর্মী প্রফুল্ল হাজং, লেখক ও গবেষক হরিদাস হাজং, কুমুদিনী হাজং এর ছেলে অর্জুন হাজং প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, কুমুদিনী হাজং অত্র অঞ্চলের গর্ব। এই মহিয়সী নারী হাজং বিদ্রোহ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, টংক আন্দোলন, ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন, পাকিস্তানি জুলুম বৈষম্য ও নিপীড়ন, ১৯৬৪ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনসহ বিভিন্ন আন্দোলনের কালের সাক্ষী ছিলেন। আমরা তার ৯৫তম জন্মদিন পালন করতে পেরে সত্যিই আনন্দিত। নতুন প্রজন্মের কাছে এই মহান নারী নেত্রীর ব্যাক্তির পরিচিতি তুলে ধরতে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানানো হয়।
আলোচনা শেষে, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি’র শিল্পীরা জন্মদিনের অনুষ্ঠানকে স্মরণীয় করে রাখতে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবশেন করেন।
উল্লেখ্য, কুমুদিনী হাজং বেশ কিছু পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন। তার মধ্যে ১৯৯৯ সালে তেভাগা কৃষক আন্দোলনের ৫০ বছর পূর্তিতে পুরস্কার, ২০০৩ সালে অনন্যা শীর্ষ দশ নির্বাচিত পুরস্কার, ২০০৫ সালে স্বদেশ চিন্তা সংঘ ড. আহম্মদ শরীফ স্মারক পুরস্কার, ২০০৭ সালে মণি সিংহ স্মৃতিপদক, ২০১০ সালে সিধু কানহু ফুলমনি পদক, ২০১৪ সালে জলসিঁড়ি পদক, ২০১৮ সালে হাজং জাতীয় পুরস্কার, ২০২১ সালে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক সম্মাননা এবং ২০২২ সালে পথ পাঠাগার সম্মাননা অন্যতম।