ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছাইদুল ইসলাম বাবুলকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ ঘটনাটি ঘটে। জানা যায়, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ৬নং মাইজবাগ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল আদালত ময়মনসিংহের ২৭/২০২২ নং মামলার আদেশের বিরুদ্ধে ছাইদুল ইসলাম বাবুল হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন নং-২১৯/২০২৫ দায়ের করেন।
বিজ্ঞ আদালত ২ ফেব্রুয়ারী তারিখে শুনানীর পর নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল ও নির্বাচনী আপীল ট্রাইব্যুনালে দায়েরকৃত মামলা নং-২৭/২০২২ এর আদেশ ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেন। পরে ছাইদুল ইসলাম বাবুল আদেশটি গত ১২ মার্চ বাংলাদেশ সচিবালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগে জমা দেন। তার প্রেক্ষিতে সচিবালয় ১জুন ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসককে আদেশ দেন।
তারই প্রেক্ষিতে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মুফিদুল ইসলাম গত ১৮-জুন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ছাইদুল ইসলাম বাবুল কর্তৃক হাইকোর্ট বিভাগে দায়েরকৃত রিট পিটিশন নং- ৭০৬০/২০২৩ এবং ২১২/২০২৫ এর প্রদত্ত রায় ও বিজ্ঞ আইনজীবীর মতামতের আলোকে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলাধীন মাইজবাগ ইউনিয়ন পরিষদে ছাইদুল ইসলাম বাবুলকে চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়।
তারই লক্ষ্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ছাইদুল ইসলাম বাবুলকে ডাকা হয়। এ বিষয়ে মাইজবাগ ইউপি চেয়ারম্যান ছাইদুল ইসলাম বাবুল জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের আহবানে বুধবার সকাল আনুমানিক ১১টায় উপজেলা পরিষদে আসি। আসার পর কয়েকজন যুবক আমাকে ডেকে নিয়ে মারধর করে পাঞ্জাবী ছিঁড়ে লাঞ্ছিত করে। এসময় তিনি কিল ঘুষিতে আহত হন। তিনি লাঞ্ছিত হওয়ার বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করেন।
কারা হামলা করেছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার প্রতিপক্ষ ফরিদ চেয়ারম্যানের লোকজন হামলা চালিয়েছে বলে ধারণা করছি। এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদ মিয়াকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, আমি ব্যক্তিগত কাজে ঢাকায় আছি। বাবুলের উপর হামলার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।
আমি বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানজিদা রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তাঁকে মঙ্গলবার আসতে বলেছিলাম। অসুস্থ্যতার কারণে সেদিন তিনি আসতে পারেন নি। পরে বুধবার সকাল ৯টায় আসতে বলি। নির্ধারিত সময়ে আমার কার্যালয়ে না আসায় আমি একটি প্রজেক্ট দেখতে উপজেলা পরিষদের বাহিরে চলে যাই। ৯টার পরে আসায় এ ঘটনাটি ঘটে। আমি হামলার বিষয়টি চেয়ারম্যানের ফোনে জানার পর থানায় অভিযোগ করার পরামর্শ দিয়েছি।