নিজস্ব প্রতিবেদক: সারা দেশের মতো নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা পূর্ণ দিবস কর্মবিরতিতে অংশগ্রহণ করেছেন। সোমবার (২৬ মে) ‘সহকারী শিক্ষক ঐক্য পরিষদ’-এর ব্যানারে ঘোষিত এ কর্মসূচি পালনে দেখা গেছে ভিন্নমত ও ভিন্নচিত্র।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ রেখে শান্তিপূর্ণভাবে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন। অন্যদিকে, অনেক শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠান কর্মসূচিতে সরাসরি অংশগ্রহণ না করলেও মৌন সমর্থনের কথা জানিয়েছেন। কেউ কেউ এই কর্মসূচিকে ব্যক্তিগত বা বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী এক সহকারী শিক্ষক জানান, “শিক্ষার্থীদের ওপর যেন এর প্রভাব না পড়ে, সেদিকে সর্বোচ্চ খেয়াল রেখে আমরা দাবি আদায়ের আন্দোলনে যুক্ত হয়েছি।”
আরেকজন শিক্ষক বলেন, আজ হয়তো অনেক প্রতিষ্ঠান দৃশ্যমানভাবে কর্মসূচি পালন করেনি। তবে আমাদের এই আন্দোলনে পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রধান শিক্ষক বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানে আজ কোনো কর্মসূচি পালন করা হয়নি। তবে সহকারী শিক্ষকদের দাবিগুলো ন্যায়সংগত এবং তা বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ প্রয়োজন।
শিক্ষকদের এই আন্দোলনের মূল দাবিগুলো হলো- সহকারী শিক্ষক পদকে সরকারি চাকরির ‘এন্ট্রি পদ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ, চাকরির ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তিতে যে জটিলতা রয়েছে তা নিরসন করা এবং প্রধান শিক্ষকের শতভাগ পদে সহকারী শিক্ষকদের মধ্য থেকে পদোন্নতির সুযোগ নিশ্চিত করা।
উল্লেখ্য, শিক্ষকরা গত ৫ মে থেকে কর্মবিরতির ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন। প্রথমে এক ঘণ্টা, পরে দুই ঘণ্টা এবং অর্ধদিবস কর্মবিরতির পর এবার পূর্ণ দিবস কর্মবিরতিতে গেছেন তারা।
যদিও কেন্দুয়ায় এই কর্মসূচি সর্বত্র বাস্তবায়িত হয়নি। তবে শিক্ষক সমাজের অভ্যন্তরে এর ব্যাপক সাড়া ও একাত্মতার ইঙ্গিত স্পষ্ট। শিক্ষকদের দাবি বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট মহল কার্যকর উদ্যোগ নেবে। এমন প্রত্যাশা সকলের।