টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ
দাদার জমি নিয়ে চাচাতো ভাইদের মধ্যে বিরোধের জেরে, নাগরপুর উপজেলা বিএনপি নেতা বাদশা তার চাচাতো ভাই জব্বার কে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার মামুদনগর ইউনিয়নের সুদামপাড়া গ্রামে চাচাতো ভাইয়ের সাথে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে জব্বার (৬৫) কে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে চাচাতো ভাইদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নিহত জব্বার মিয়া উপজেলার মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, দাদার ২৪ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ করে আসছিল বাদশা গং। ওয়ারিশ অনুযায়ী নিহত জব্বার মিয়া ৬ শতাংশ জমির মালিক ছিলো। আর এই জমি নিয়েই চাচাতো ভাই উপজেলা বিএনপির নেতা বাদশা দলীয় প্রভাব খাটিয়ে জবরদখল করতে গিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে জব্বারকে।
এছাড়াও ৫ পাঁচজনকে মারাত্মকভাবে আহত করেছে বলে জানায় ভুক্তভোগী পরিবারটি। ১৯ মে সোমবার সকাল ৬ টার সময় গোষ্টীগত চাচাতো ভাই খালেক, বাদশা, ছানোয়ারদের সাথে জায়গা-জমি নিয়ে মারামারিতে মারাত্মক ভাবে আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় জব্বার। নিহতের পরিবার জানায়, বাদশা গং তাদের বাড়িতে এসে লাঠিসোঁটা দিয়ে পরিকল্পিত ভাবে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে হত্যা করেছে জব্বার কে। গুরুতর আহত জব্বার কে নাগরপুর সদর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার ফারহানা আফরোজ জানায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আমরা জব্বার মিয়াকে মৃত অবস্থায় পাই।
রোগীটি আমাদের কাছে ব্রডডেট অবস্থায় সকাল ৭টার দিকে আনা হয়। পরে তাকে সকাল সোয়া ৭টায় তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। উল্লেখ্য, উপজেলার সুদামপাড়া গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে মো. বাদশা মিয়া (৫০) নাগরপুর উপজেলা বিএনপি’র তাঁতী/মৎসজীবী/ উপজাতি বিষয়ক সম্পাদক।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ ছালামের সাথে মুঠোফোনে কথায় তিনি বাদশার দলীয় পদবি নিশ্চিত করেন। বৃদ্ধ জব্বারের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। নিহতের পরিবার দোষীদের ফাঁশীর দাবি জানায়। নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত আমরা হাসপাতাল ও ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছি। এ ঘটনার তদন্ত ও মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।