ববি প্রতিনিধি:
তামজিদ হোসেন মজুমদার বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের(ববি) ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী জেবুন্নেছা হক জিমির (২০১৯-২০ সেশন) গত বৃহস্পতিবার পাকস্থলীর ক্যান্সারে মারা যায়। তিনি ১৮ই ডিসেম্বর ২০২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে চিকিৎসা সহযোগিতা চেয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন তাকে সহযোগিতা করতে ব্যর্থ হন।বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অবহেলাকে দায়ী করে পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করে ২৪ ঘণ্টার আল্টমেটাম দিয়েছেন ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (৩রা মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। পাঁচ দফা দাবিগুলো হলো- প্রথম দফা:জিমির আবেদনের বিষয়ে প্রশাসনের অবহেলার দায় স্বীকার করতে হবে ও শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করার জন্য উপাচার্যকে প্রকাশ্যে (গ্রাউন্ড ফ্লোরে) সকল শিক্ষার্থীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয় তার জন্য অঙ্গীকারপত্র স্বাক্ষর ও প্রকাশ করতে হবে।;দ্বিতীয় দফা,উপাচার্যের কর্মদিবসগুলোতে নির্ধারিত সময়ে নিজ দপ্তরে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে—অনুপস্থিত থাকলে একজন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে দায়িত্ব প্রদান করতে হবে।; তৃতীয় দফা,আর্থিক সহায়তা বিষয়ক আবেদন ৩ কর্মদিবসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে—গৃহীত হলে কিংবা বাতিল হলে তা স্পষ্টভাবে জানাতে হবে এবং এই কাজের জন্য একজন নির্দিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে হবে।
চতুর্থ দফা,আর্থিক সহায়তা তহবিলের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে—নির্দিষ্ট সময় অন্তর ওয়েবসাইটে এর হিসাব প্রকাশ করতে হবে।; পঞ্চম দফা, শিক্ষার্থীরা যাতে উপাচার্যের সাথে কোনো জরুরি বিষয় দেখা করতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার না হয় এবং শিক্ষার্থীরা যাতে সহজে উপাচার্যের সাথে সাক্ষাৎ করতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে। উল্লেখ, এই ৫দফা বাস্তবায়নে প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। এবং৫টি দাবি উপেক্ষিত হলে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান সকল যৌক্তিক আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ হুঁশিয়ারি দেন।