ববি প্রতিনিধি :
তামজিদ হোসেন মজুমদার বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে প্রতীকী কফিন বানিয়ে মৃত ঘোষণা করেন।এবং তারা নিজ মুখে কালো কাপড় বেঁধে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কে বিক্ষোভ করেন। বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাত ৮টাই বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোর থেকে কফিন মিছিল নিয়ে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করেন শিক্ষার্থীরা।
এই সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমরা কফিনকে মহাসড়কের সামনে রেখে করেছি কারণ আমরা চার দফা দাবি নিয়ে সুশৃঙ্খল আন্দোলন করছিলাম কিন্তু ভিসির নির্দেশে আমাদের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে দমন করতে জিডি করা হয়েছে। এই অথর্ব প্রশাসন আমাদের দাবির প্রতি কর্ণপাত না করে মামলা দিয়ে আন্দোলনকে বানচালের চেষ্টা করছে। আমরা মনে করি, এ প্রশাসন মৃত।”
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী রাকিন খান বলেন, “গতকাল (২৯ই এপ্রিল) আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা মহাসড়কে অবস্থান নিলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের সাথে কোনো প্রকার যোগাযোগ করা হয়নি।” আন্দোলনে আসা শিক্ষার্থী নাজমুল ঢালি বলেন, ‘বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের চার দফা যৌক্তিক দাবি প্রশাসনকে জানালে তারা এখন অবধি কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বরঞ্চ স্বৈরাচার ভিসি এই আন্দোলনকে দমানোর জন্য শিক্ষার্থীর নামে জিডি করে। যা সম্পূর্ণ ভাবে ভিত্তিহীন এবং স্বৈরাচার মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ।
আমরা এই স্বৈরাচারী মনোভাবের বিরুদ্ধে এবং প্রশাসনের নিস্তব্ধতার কারণে আজকের এই কফিন মিছিল আয়োজন করেছি।’ উল্লেখ্য,চার দফাসহ শিক্ষার্থীদের নামে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) হাতে মশাল নিয়ে প্রায় চার ঘণ্টা ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করেন।
পরবর্তিতে শিক্ষার্থীরা ১২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে সড়ক ছাড়েন। শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি হলো: ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহসিন উদ্দিনের বিরুদ্ধে ওঠা মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহার করা; তাকে সিন্ডিকেট ও অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে পুনর্বহাল করা; আওয়ামী লীগের পদধারী রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামকে অবিলম্বে অপসারণ করা এবং ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের সমর্থক শিক্ষক-কর্মচারীকে অপসারণ করা।