বিপ্লব হোসেন, ইবি প্রতিনিধি:
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ৩৭ জন শিক্ষার্থী বহিষ্কারের ঘটনায় প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা। এ সময় তারা নিরীহ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং অনতিবিলম্বে কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি জানায়। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বিকাল ৩ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় এই সমাবেশ করে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইট, সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান, ইয়াসিরুল কবির সৌরভ, তানভীর মাহমুদ মন্ডল, গোলাম রব্বানীসহ জাস্টিস ফর জুলাইের আহ্বায়ক নাহিদ জোয়ার্দারসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, ‘অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে কুয়েট ভিসির সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া উচিত ছিল শিক্ষার্থীদেরকে। কিন্তু তিনি একটি দল বা গোষ্ঠীকে সব সময় সুযোগ সুবিধা দিচ্ছেন। তিনি সরাসরি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। যার ফলে তিনি তাঁর চেয়ারে থাকার নৈতিক অবস্থান হারিয়েছেন। যিনি ছাত্রদের অধিকার সংরক্ষণ করতে পারেন না, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পদে থাকতেও পারেন না। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিকট অনতিবিলম্বে কুয়েট ভিসিকে অপসারণ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
এ দিকে একই ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেয় ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদ।
বিবৃতিতে বলা হয়, কুয়েটের ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে, আমরা অনতিবিলম্বে তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। একইসাথে উক্ত ঘটনায় দায়ের করা মিথ্যা মামলাও অবিলম্বে প্রত্যাহার করে ক্যাম্পাসের স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানায় সংগঠনটি।”
প্রসঙ্গত, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার)ছাত্র রাজনীতি বন্ধ নিয়ে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে ক্যাম্পাসের আশপাশের এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত ৪০-৪৫ শিক্ষার্থী আহত হয়। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ১০১তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভায় ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়।