কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন: নেত্রকোনার কেন্দুয়া থানায় ডাকাতি মামলার অন্যতম আসামি মো. আনোয়ার হোসেনকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে র্যাব। তিনি কেন্দুয়া উপজেলার নোয়াদিয়া দিগর গ্রামের আছিম উদ্দিনের ছেলে। তাকে নরসিংদীর পলাশ থানা এলাকায় র্যাব-১৪ ও র্যাব-১১ এর যৌথ অভিযোনে গ্রেফতার করা হয়।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ময়মনসিংহ র্যাবের (সিপিএসপি) এর অধিনায়কের পক্ষে এতথ্য নিশ্চিত করেন মিডিয়া অফিসার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল চাকমা (পিপিএম-সেবা)। এরআগে গত শনিবার বেলা সোয়া ১টার দিকে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আনোয়ার হোসেনকে আটক করতে সক্ষম হয় র্যাবের যৌথ দল।
র্যাবের মিডিয়া অফিসার জানান, গত ১৮ জানুয়ারি রাত অনুমান সোয়া ১টা হতে পৌনে ২টার দিকে কেন্দুয়া থানাধীন বলাইশিমুল ইউনিয়নের নোয়াদিয়া গ্রামের নোয়াদিয়া মহিলা মাদরাসা সংলগ্ন কেন্দুয়া-নেত্রকোনা সড়কে অজ্ঞাতনামা ১০-১৫ জনের ডাকাত দল আম গাছের ডুম ফেলে সড়ক অবরোধ করে। এসময় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মো. তৌহিদুর রহমানের (৪০) সাথে থাকা মোটরসাইকেল ও নগদ চার হাজার টাকা এবং ঘটনাস্থল থেকে আরও লোকজনসহ দুইটি ট্রাকের চালকদের নিকট থেকে ৩১ হাজার ৭৩০ টাকা ডাকাতি করে নিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, গত ১৯ জানুয়ারি এই ঘটনায় কেন্দুয়ার দীঘলকুর্শা গ্রামের মৃত সাইদুর রহমানের ছেলে মো. তৌহিদুর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১০-১৫ জনকে আসামি করে কেন্দুয়া থানায় ডাকাতি মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার পর ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ (সিপিএসসি) ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা কার্যক্রম গ্রহণ করে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নরসিংদী র্যাব-১১ (সিপিএসসি) ও ময়মনসিংহ র্যব-১৪ (সিপিএসসি) এর যৌথ অভিযানে এই ডাকাতি মামলার অন্যতম প্রধান আসামি মো. আনোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানায় র্যাবের এই কর্মকর্তা।
র্যাব কর্তৃক ডাকাতি মামলার আসামি হস্তান্তরের সত্যতা নিশ্চিত করে কেন্দুয়া থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান বলেন, আজ (রবিবার) গ্রেফতারকৃত আনোয়ার হোসেনকে সংদিগ্ধ আসামি হিসেবে জেলা আদালতে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানান তিনি।