কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন: আগাম বন্যা মোকাবেলায় কৃষকরা যাতে দ্রুত ধান কর্তন করে ঘরে তুলতে পারেন সে লক্ষ্যে সরকার ভর্তুকি মূল্যে হারভেস্টার মেশিন (ধান কাটার যন্ত্র) বিতরনের প্রকল্প গ্রহণ করেছে। সেই হারভেস্টার মেশিন হাওর এলাকার কৃষকের জন্য ৭০ ভাগ এবং অন্যান্য এলাকার জন্য ৫০ ভাগ ভর্তুকি প্রদান করা হয় রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে।
নেত্রকোনার হাওরখ্যাত উপজেলা কলমাকান্দায় ৭০ ভাগ ভর্তুকি মূল্যের হারভেস্টার মেশিন প্রভাব বিস্তার এবং বল প্রয়োগের মাধ্যমে একজনের নামে বরাদ্দ অন্য উপজেলার আরেকজনের কাছে হস্তান্তরের অভিযোগ উঠেছে কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবরে এমন অভিযোগ করেছেন কলমাকান্দার চান্দুয়াইল গ্রামের মো. ইদ্রীস আলীর ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলম।
অভিযোগে উল্লেখ, ২০২৪ সালে কৃষক জাহাঙ্গীর আলমের নামে একটি হারভেস্টার মেশিদ বরাদ্দ দেওয়া হয়। আওয়ামীলীগের কতিপয় দালালদের সাথে মিলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম পুলিশের ভয় দেখিয়ে জাহাঙ্গীর আলমকে চাপ প্রয়োগ করেন এবং জোরপূর্বকভাবে ভুক্তভোগী কৃষকের নামে বরাদ্দকৃত হারভেস্টার মেশিনটি অন্য উপজেলার জনৈক হাসানের নামে হস্তান্তর করতে বাধ্য করেন কৃষি কর্মকর্তা।
বরাদ্দ বাতিল বা অন্য কারও নামে হস্তান্তর আইনসম্মত হয় নাই। এতে ভুক্তভোগী কৃষক অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্থ ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়েছেন। এ ধরণের দুষ্টু কর্মকর্তার অন্যায় আচরনের ফলে প্রকৃত কৃষকেরা সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন। জাহাঙ্গীর আলম তিনি নিজেও বঞ্চিত হয়েছে এবং ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করছেন।
এ বিষয়ে কলমাকান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগটি ভিত্তিহীন ও হয়রানিমূলক।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাইযুল ওয়াসীমা নাহাত বলেন, লিখিত অভিযোগটি হাতে পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।