জবি প্রতিনিধি:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০তম ব্যাচ আসার আগেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং ও বুলিং-এ ‘জিরো টলারেন্স’ চাই বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডঃ মোঃ রেজাউল করিম, পিএইচডি। আজ বৃহঃপতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে ‘Raising Awareness: Combating Bullying and Ragging in University Campus’ শীর্ষক সেমিনারটিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বুলিং ও র্যাগিং যেন কোনোভাবেই স্থান না পায়, এর জন্য সকল শিক্ষার্থীকে সচেতন হতে হবে।
ইতিমধ্যে র্যাগিং ও বুলিংয়ের কারণে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়েছে। র্যাগিং ও বুলিংয়ের বিষয়ে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধে বেশি মনোযোগ দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, র্যাগিং-বুলিং প্রতিরোধে বিশেষ গবেষণা প্রকল্প হলে অনুমোদন দেওয়া হবে। ২০তম ব্যাচ আসার আগেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং ও বুলিং-এ ‘জিরো টলারেন্স’ চাই। আমাদের লক্ষ্য একটি সহনশীল, নিরাপদ ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করা, যেখানে প্রতিটি শিক্ষার্থী নিজের মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে এগিয়ে যেতে পারে।”
কি-নোট স্পিকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বুলিং এন্ড র্যাগিং প্রিভেনশন কমিটির আহ্বায়ক এবং মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আকরাম উজ্জামান। তিনি বলেন, “বুলিং ও র্যাগিংয়ের প্রভাবে সমাজে ব্যক্তিকেন্দ্রিক বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এসব বিষয় থেকে উত্তরণের উপায় বের করতে হবে। বুলিং ও র্যাগিং শুধু শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন নয়, এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে।
আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে, খেয়াল রাখতে হবে ক্যাম্পাসে এই ধরণের ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয়।” সেমিনারের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান, সহযোগী অধ্যাপক মোস্তাফিজ আহমেদ, আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুহম্মদ আসাদুজ্জামান সাদী এবং সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোঃ আমিনুল ইসলাম।
মতবিনিময় অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সেমিনারের মডারেটর ও ছাত্র-কল্যাণ দপ্তরের পরিচালক ড. কে এ এম রিফাত হোসেন। সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮তম (২০২২-২৩ সেশন) ও ১৯তম ২০২৩-২৪ সেশন) ব্যাচের শ্রেণি প্রতিনিধিসহ অন্যান্য অতিথিরা অংশগ্রহণ করেন এবং এ বিষয়ে প্রশ্ন ও আলোচনা তুলে ধরেন।