নিজস্ব প্রতিবেদক: তিন শতাধিক লোকজনের কারও হাতে কোঁদাল আবার কেউ হাতে নিয়েছে খালি বস্তা। কেউ আবার ভাঙা জায়গায় বাঁশ দিয়ে বেড়া দিচ্ছে। বালু ভরে ফেলা হবে বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশে। পাহাড়ি ঢলে ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ রক্ষায় ও ভোগান্তি লাগবে আয়োজন করছে এলাকাবাসী।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকালে এমন দৃশ্য দেখা গেছে নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার লেংগুরা ইউনিয়নের শিবপুর কাওয়াবাড়ী নদীর বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশে।
জানা যায়, কলমাকান্দার লেংগুরা ইউনিয়নের কাওয়াবাড়ী নদীর বেড়িবাঁধ দিয়ে তিন গ্রামের ১৫ হাজার মানুষের যাতায়াত করে। প্রতিদিন স্কুল-কলেজের অনেক শিক্ষার্থীরা আসা যাওয়া করে। কিন্তু গত বর্ষাকালে বেড়িবাঁধ ও বেশ কিছু গ্রামীণ রাস্তা ক্ষয়ক্ষতি হয়। এতে যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাতে হয় স্থানীয়দের। ভোগান্তি লাগবে আজ (শুক্রবার) সকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালের নির্দেশে রাস্তা ও বেড়িবাঁধের সংস্কার কাজ শুরু করেন নেতাকর্মীরা।
এতে নেতৃত্ব দেন কলমাকান্দা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক ও লেংগুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান ভূঁইয়া। এছাড়া স্থানীয় লোকজন স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কার কাজে অংশ নেন।
স্থানীয় বাসিন্দা জালাল উদ্দীন বলেন, বর্ষা মৌসুমে বেড়িবাঁধ ভেঙে বেশি ক্ষতি হয়েছে। ভাঙা জায়গায় সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। বাঁধ সংস্কার হলে যাতায়াতের মাধ্যম সহজ হবে। বিএনপির নেতাকর্মী ও স্থানীয় লোকজন মিলে স্বেচ্ছাশ্রমে বেড়িবাঁধ সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। বাঁধের কাজ শেষ হলে রক্ষা পাবে হাজারো কৃষকের স্বপ্নের ফসল।
লেংগুরা ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, সীমান্তবর্তী লেংগুরা ইউনিয়নে পাহাড়ি ঢলে প্রতিবছর ব্যাপক ক্ষতি হয়। সরকারি অর্থায়নে সব কাজ শেষ হয় না। তাই নিজেরাই সেচ্ছাশ্রমে কাজ শুরু করেছি। তিন দিনের মধ্যে দেড় কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ও গ্রামীণ রাস্তার কাজ শেষ হবে আশা করছেন তিনি।