টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ
গ্রামীণ ঐহিত্য ধরে রাখতে ও নতুন প্রজন্মের কাছে ঘৌড় দৌড় প্রতিযোগিতা পরিচিত করার লক্ষেই টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার চৌধুরী ডাঙা ক্লাবের উদ্যোগে ঘোড় দৌড় প্রতিযোতিার আয়োজন করা হয় প্রতিবছরের ন্যায় এবছরেও আয়োজন করা হয়েছে ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা।সোমবার (১৬ডিসেম্বর) বিকেলে নাগরপুর উপজেলা সহবতপুর ইউনিয়নের ডাঙা গ্রামে, এই ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতায় মানিকগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল জেলাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে মোট ৩০টি ঘোড়া অংশ নেয়। এর মধ্যে ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সের চার-পাঁচ জন কিশোরও ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম এ ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতারঘোড় দৌড় দেখতে আসা রানা বলেন, ‘ঘোড়ার দৌড় প্রতিযোগিতা দেখে খুবেই ভালো লাগছে। এমন আয়োজনে হাজারো দর্শকের উপস্থিতিতে আবেগ আপ্লুত হয়েছি
এ প্রতিযোগিতা দেখে হারিয়ে যাওয়া ঐহিত্যকে মনে পড়ে গেলো। তবে এমন আয়োজন প্রতিবছর হলে ভালো হয়।’নজরুল বলেন ‘জীবনের প্রথম নিজ গ্রামে ঘোড় দৌড় দেখতে পেরে আনন্দিত।হাসিবুর ইসলাম নামে এক ঘোড়া মালিক ও সোয়ারী তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই তিনি বিভিন্ন এলাকায় ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। অনেক প্রতিযোগিতায় তিনি বিজয়ী হয়েছেন। সেই ধারাবাহিকতায় আজও তিনি বিজয়ী হন। শারীরিক অবস্থা যতদিন ভালো থাকবে ততদিন তিনি ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিবেন।’সহবতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘গ্রামীণ ঐহিত্য টিকিয়ে রাখতে ও নতুন প্রজন্মের কাছে ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা পরিচিত করতে ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। আগামীতেও আরো বড় পরিসরে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে।
ড় দৌড় প্রতিযোগিতা আয়োজনকারী নাগরপুর উপজেলা ডাঙা ক্লাবের সভাপতি জানান, ‘গ্রামীণ ঐহিত্যবাহী টিকিয়ে রাখতে এমন আয়োজন করি। সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ ভাবে ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হওয়া তিনি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ৩০ ঘোড়ার মধ্যে ছোট, মাঝারি ও বড় আকারের ঘোড়া নিয়ে আলাদা আলাদা দৌড় শুরু হয়। এরপর চুড়ান্ত ভাবে তিনটি গ্রুপের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃত্বীয় বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এরমধ্যে ১২ ও ১৫ বছরের দুই কিশোর সহ বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার হিসেবে নগদ অর্থ ও টেলিভিশন তুলে দেন আমন্ত্রিত অতিথিরা।অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাগরপুর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মো. ফারুক আহমেদ, সহবতপুর ইউনিয়নপরিষদেরচেয়ারম্যান মো. তোফায়েল আহমেদ মোল্লা, মো. শামিম চৌধুরী (বাবু), নাগরপুর বাজার বণিক সমিতির সহ-সভাপতি মো. শহিদ মিয়া সহ উপস্থিত ছিলেন উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।