বকশিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ রাহিন হোসেন রায়হান।
বাড়ির সামনে বাগানের মধ্যে সারিবদ্ধভাবে লাগানো রয়েছে চায়না জাতের কমলার গাছ। থোকায় থোকায় ঝুলছে নানা আকারের কমলা রঙের কমলা। কমলাসহ গাছগুলো দেখতে যেমন চোখ জুড়িয়ে যাচ্ছে, তেমনি এ কমলার স্বাদও অনন্য।
চায়না জাতের এ কমলার চাষ হচ্ছে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের সাতানিপাড়া গ্রামের বাড়ির আঙ্গিনায়। বাগানের মালিক কৃষক সবদার ইতোমধ্যে পাকা কমলা বিক্রয় শুরু করেছেন। এতে নিজের ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন তিনি। কৃষক সবদারের কমলা বাগান দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন বিভিন্ন এলাকা থেকে আশা দর্শনার্থীরা। ফলন ভালো দেখে অনেকেই চায়না কমলা চাষ করার উৎসাহ পাচ্ছেন। কৃষি বিভাগ বলছে, এসব ফলদ আবাদে আগ্রহী উদ্যোক্তাদের সব ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। শুধু কমলা নয়, এই উপজেলায় চাষ হচ্ছে নানা প্রজাতির ফল।স্বাদ নিচ্ছেন ফরমালিন মুক্ত কমলার স্বাদ ও বাঁড়াচ্ছেন সরাসরি গাছ থেকে কমলা ছিড়ে খাওয়ার অভিজ্ঞতা। এতে স্বাবলম্বী হচ্ছেন কৃষক সবদার।জানা গেছে, কামরুজ্জামান সবদার কৃষি উদ্যোক্তা শুরু থেকেই কৃষি কাজের সাথে জড়িত। চার বছর আগে তার আত্মীয়র কমলা বাগান দেখে তিনি নিজে কমলা চাষ শুরু করেন। পরে কুষ্টিয়ার একটি বাগান থেকে চারা সংগ্রহ করে উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিয়ে তার বাড়ির উঠান আঙ্গিনায় বাগান প্রস্তুত করে ৫৬ টি কমলার চারা রোপণ করেন।
সবদার বলেন, ৩০ হাজার টাকা খরচে তিনি বাগান শুরু করেন। তবে গেল বছরে ফলন কম হলেও এবার তার বাগানের ৫৬ টি গাছে বিপুল পরিমাণে ফল হয়েছে । তবে, প্রথম বার ফল বিক্রি করায় দামের বিষটি বুঝতে না পেরে তেমন একটা লাভ করতে পারেননি তিনি। তবে এবার ফলন ভালো হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন যেমন ঠিক তেমনি কমলার বাগান দেখে তার গ্রামের অনেকেই কমলা চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আমিনুল ইসলাম বলেন, সবদার গত ২ বছর যাবত কমলার চাষ করেন তবে প্রথমতো ফলন কম আসায় পরবর্তীতে কৃষি অফিসে যোগাযোগ করেন পাশাপাশি কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে এবার অধিক ফলন বৃদ্ধি পায় এবং নিয়মিত খোঁজ খবর নেন বলে জানান কৃষি কর্মকর্তা।