বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান বলেছেন, ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কার্গো কমপ্লেক্সে স্থাপিত মেশিনারিজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেক শক্তিশালী। এটার অনেক উপাদানই ঢাকার চেয়েও উন্নতমানের। কার্গো কমপ্লেক্সের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। আজ ০৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সিলেটে সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারিত কার্গো কমপ্লেক্স সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুন নাসের খান এবং মো. আনিসুর রহমান। এতে জেলা প্রশাসক, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিমান বাংলাদেশের কর্মকর্তাসহ ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারিত কার্গো কমপ্লেক্স সংশ্লিষ্ট অংশীজনেরা অংশগ্রহণ করেন। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত এ কার্গো কমপ্লেক্স এখনই সেবা দিতে প্রস্তুত উল্লেখ করে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব বলেন, বিভিন্ন দেশে সিলেটের পণ্যের চাহিদা থাকার দাবিতে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হলেও ২০২২ সাল থেকে পরীক্ষামূলকভাবে মাত্র দুইবার পণ্য পাঠানো হয়েছে। সিলেটের মানুষের কাছ থেকে আশা নিয়েই নিশ্চয় এটা তৈরি হয়েছিল মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, সিলেটবাসীর মধ্যে থেকেই জোর দাবি ছিল এটা নির্মাণে কিন্তু এ চার বছরে যেভাবে এটা কার্যকর হওয়ার কথা ছিল সেভাবে হয়নি। সচিব নাসরীন জাহান বলেন, সিলেটবাসীকেই এটা কার্যকর করতে হবে। তবেই সিলেটে উৎপাদিত কৃষি ও কুটিরশিল্পসহ অন্যান্য পণ্য রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি হবে। সরকার নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে সব রকম সাহায্য করতে সবসময়ই প্রস্তুত আছে। অতিরিক্ত আশাবাদী না হয়ে বাস্তবতা নিয়ে ভাবতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখানে যদি আবারো প্যাকেজিং ওয়্যারহাউস করা হয় সেটা যাতে পরে না থাকে, এজন্য একটা পরিপূর্ণ কার্গো সাভিস চালুর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী রপ্তানির প্রতিশ্রুতি পেলে সরকার সব রকম ব্যবস্থা করবে। এ সভার সুপারিশমালা নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে তিনি উপস্থিত অংশীজনদের আশ্বস্ত করেন।