মনিরুজ্জামান খান গাইবান্ধা:
গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলায় ভুয়া কাগজপত্র জমা দিয়ে ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার সময় এক রোহিঙ্গা যুবক, ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে সাদুল্লাপুর পুলিশ।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে আসামিদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে রবিবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে তাদের সনাক্তর ঘটনা ঘটে। গ্রেফতার স্থানীয় দুই যুবক জাল জন্ম সনদপত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র তৈরী এবং শনাক্তকারী হিসাবে ওই রোহিঙ্গা যুবককে সহায়তা বাবদ চুক্তি ৫০ হাজার টাকা মর্মে এই অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালান বলে অভিযোগ দুই সহযোগির বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার ।
গ্রেফতার রোহিঙ্গা মো. নুরুল আমিন (২৪) কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার জি-৩ বালুখালি রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৯ এর বাসিন্দা। তার বাবার নাম হোসেন ওরফে লালু মিয়া ও মায়ের নাম ইশারত ফাতেমা।
সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজউদ্দিন খন্দকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়া তার সহযোগী তায়েফ সরকার (২৩) উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের মহিষবান্দি এলাকার আশরাফুজ্জামান সরকারের ছেলে ও জীবন কৃষ্ণ দ্বীপদ উজ্জল (৩৪) একই ইউনিয়নের তরফ কামাল এলাকার রঞ্জিত চন্দ্র বর্মনের ছেলে।
সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল মোমেন বলেন, রবিবার দুপুরে উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের আরাজী তরফ কামাল গ্রামের (এলাকার কোড নং-০৬২৩) ভোটার তালিকায় নাম অর্ন্তভুক্তির জন্য ওই রোহিঙ্গা যুবক স্থানীয় দুইজনকে সঙ্গে নিয়ে তার কার্যালয়ে আসে।তিনি আরও জানান,
ভোটার আবেদনের অনলাইন কপি ও সংযুক্ত কাগজপত্রে বাবার নাম হেলাল উদ্দিন ও মায়ের নাম রত্মা বেগম উল্লেখ করেন।
নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, কাগজপত্র পর্যালোচনা করে সন্দেহ হলে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এসময় রোহিঙ্গা যুবক নুরুল আমিনের কথাবার্তায় চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষার উচ্চারণ পাওয়া যায়। তখন রোহিঙ্গা যুবক তার সঙ্গে থাকা দুই যুবকের সহায়তায় এই এলাকার ভোটার নিবন্ধন করতে আসেন বলে স্বীকার করে।
গতকাল(১ ডিসেম্বর) দুপুরে সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে ওই রোহিঙ্গা যুবক ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে ভোটার নিবন্ধন করতে এলে সহযোগিসহ তাদের আটক করা হয়। পরে বিকেলে তাদেরকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। রাতে উপজেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুল মোমেন বাদি হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।