বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ-
গত ২৩ অক্টোবরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপনে, গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) আনন্দ মিছিল করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।মিছিল শেষে সমাবেশে বক্তরা ছাত্রলীগকে আইন করে নিষিদ্ধেরও দাবি জানান।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬:৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল চত্ত্বর থেকে শুরু হয়ে বিজয় দিবস হল, স্বাধীনতা দিবস হল, শেখ রাসেল হল, লিপুস ক্যান্টিন ও নিউমার্কেট সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিন করে মেইন গেইটে এসে শেষ হয়।
এসময় আনন্দ মিছিলে শিক্ষার্থীরা “আজকের এই দিনে, আবরার তোমায় পড়ে মনে”, “হৈ হৈ রৈ রৈ, ছাত্রলীগ গেলি কই”, ” মুজিববাদ মুরতাদ, ইনকিলাব জিন্দাবাদ”, “ছাত্রলীগ জঙ্গী, শেখ হাসিনা সঙ্গী”, ” আমার সোনার বাংলায়, ছাত্রলীগের ঠাঁই নাই” ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এছাড়াও যারা জুলাই ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বাধা দিয়েছে, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে এবং হুমকি দিয়েছে তাদেরকে অতিবিলম্বে বিচার করে শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। একই সাথে ছাত্রলীগের সকল নেতা কর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ ও ছাত্রদের আন্দোলনে বাধা দেওয়ায় নিরাপত্তা কর্মকর্তা তরিকুল ইসলামকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা ও শেখ হাসিনা চত্বরের নাম পরিবর্তন করে জুলাই ছাত্র আন্দোলনে গোপালগঞ্জ জেলার দুই শহীদ শিক্ষার্থী মুজাহিদ ও মইনুল এর নামে রাখা হয়।
মিছিল শেষে ফার্মেসী বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ওবায়দুল ইসলাম বলেন,” আপনারা জানেন ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ছাত্রলীগ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নোমনী কে ইটের উপর ইট রেখে মাথা থেঁতলে হত্যা করে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে হাবিবুরকে কুপিয়ে হত্যা করে। এছাড়াও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়েও এক শিক্ষার্থীকে হত্যা করে। ছাত্রলীগ এমন অপকর্ম নেই যে তারা করিনি। সিলেট এমসি কলেজে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের মতো জঘন্য কাজ করেছে। তাদের নেক্কারজনক কাজের আরো একটি উদাহরণ হলো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ধর্ষণের সেঞ্চুরি করে উৎযাপন করে। তাই ছাত্রলীগকে আইনের মাধ্যমে নিষিদ্ধের দাবি জানায়। ”
পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী আবু দারদা বলেন “জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার গনঅভ্যূত্থানে গোপালগঞ্জ জেলার ২ শিক্ষার্থী ( শহীদ মুজাহিদ ও শহীদ মইনুল) সহ মোট ৬ জন শহীদ হয়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের তাৎক্ষণিক মতামত নিয়ে আরও বলেন “আজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান “জয় বাংলা” চত্বরের নাম পাল্টে “মুজাহিদ চত্বর” এবং ফ্যাসিস্ট হাসিনার নামে করা “হাসিনা চত্বর”কে “মইনুল চত্ত্বর” ঘোষণা করা হলো ।