দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি –
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার সোমেশ্বরী নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ আদিবাসী যুবক রুয়েল রিছিল (২৮) এর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকালে ঘটনাস্থলেই মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা উদ্ধার করে। এর আগে গত মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ফারংপাড়া বটতলা জিরো পয়েন্ট এলাকায় নিখোঁজের ঘটনা ঘটে। রুয়েল রিছিস একই ইউনিয়নের দাহাপাড়া গ্রামের আদিবাসী কৃষক অনুত সাংমার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বেড়েছিল সোমেশ্বরী নদীতে। কয়েকদিন ধরে নদীর পানি কমে যাওয়ায় গত মঙ্গলবার বিকেলে রুয়াল সহ চার বন্ধু মিলে নদীতে মাছ ধরতে যায়। একপর্যায়ে চোরাবালুর গর্তে পড়ে যায় রুয়েল রিছিল। তার চিৎকার শুনে সঙ্গে থাকা তিন বন্ধু তাকে উদ্ধার করতে গেলে তারাও গর্তে পড়ে যায়।
এ সময় পার থেকে বিষয়টি দেখে স্থানীয় বাসিন্দা আলামিন দ্রুত নৌকা নিয়ে ছুটে এসে তিনজনকে উদ্ধার করতে পারলেও স্রোতে ভেসে যায় রুয়েল রিছিল। পরের স্থানীয়রা প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ময়মনসিংহ থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ওইদিন সন্ধ্যা থেকে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। কিন্ত ২দিনে তারা উদ্ধারে ব্যর্থ হয়। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থলে রুয়েল এর মরদেহ ভেসে উঠতে দেখে স্থানীয়রা উদ্ধার করে।
নিহত রুয়েল বন্ধু দারউইন মারাক জানান,আমরা চার বন্ধু মিলে সোমেশ্বরী নদীতে মাছ ধরতে নদীতে যায়। এই সময় রুয়েল দুই তিনবার নদীতে জাল ফেলার পর হঠাৎ চিৎকার শুরু করে। আমরা চিৎকার শুনে দ্রুত তাকে উদ্ধার করতে গেলে আমরাও গর্তে ভরে যায় স্থানীয় এক ব্যক্তি আমাদের উদ্ধার করে। কিন্তু তখন বন্ধু রয়েল নিখোঁজ হয়ে যায়।
নিহত রুয়েল রিছিলের বাবা অনুত সাংমা বলেন,ছোট একটা বাচ্চা রেখে আমার ছেলেও বউ কিছুদিন আগে মারা গেলো। এখন ছেলেটাও নাই। আমার আর কিছুই রইলো না।
এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন,নিহতের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।