প্রথম টেস্ট হারের পর সিরিজ বাঁচাতে দ্বিতীয় টেস্টে ভারতের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প নেই বাংলাদেশের সামনে। তবে এই ম্যাচে বৃষ্টি বাংলাদেশকে লড়াইয়ের সুযোগও নাও দিতে পারে। এছাড়া রয়েছে বায়ুদূষণের সমস্যাও।
আগামী শুক্রবার ভারতের উত্তরপ্রদেশের কানপুরের গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামে শুরু হবে বাংলাদেশ-ভারত টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ। ৩ বছর পর এবারই প্রথমবারের মতো এই মাঠে কোনো টেস্ট ম্যাচ হবে। কিন্তু মাঠটির প্রত্যাবর্তনে বাধা হতে পারে বেরসিক বৃষ্টি।
টেস্টের প্রথম দিন শুক্রবার আবহাওয়ার পূর্ভাবাস অনুযায়ী কানপুরে বৃষ্টির সম্ভাবনা ৯৩ শতাংশ। দিনে অন্তত ৪ ঘণ্টা বৃষ্টি হতে পারে আর সারাদিনই আকাশ মেঘে আচ্ছন্ন থাকার কথা। পরের দিন ৮০ শতাংশ বৃষ্টি হওয়ার কথা অন্তত ৩ ঘণ্টা। ম্যাচের তৃতীয় দিনের থাকবে বৃষ্টি, সেদিন এর সম্ভাবনা ৫৯ শতাংশ। তবে চতুর্থ ও পঞ্চম দিনে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। ফলে আবহাওয়ার পূর্ভাবাস মিললে এই ম্যাচে ফল বের হওয়া কঠিন হবে।
যদিও বৃষ্টির সম্ভাবনার পরও পুরো টেস্ট ম্যাচ মাঠে গড়ানো নিয়ে আশাবাদী উত্তর প্রদেশের ক্রীড়া বিভাগের কর্মকর্তা অমিত পাল। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। কিন্তু এই চ্যালেঞ্জ নেওয়ার প্রস্তুতি আমাদের আছে। নিষ্কাশনব্যবস্থাও এখানে ভালো। আশা করছি, পুরো খেলা হবে।’
বৃষ্টি ছাড়াও কানপুরে বড় সমস্যা বায়ুদূষণ। এখানে সর্বশেষ টেস্ট হয় ২০২১ সালে। তখন বাজে আলোর কারণে ভারত এবং নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ ড্র হয়। মূলত ব্যাপক আকারের দূষণের কারণে এই স্টেডিয়ামে দৃষ্টিসীমা কমে এসেছে বলে জানিয়েছে ভারতের গণমাধ্যম। এতে ব্যাটারদের বল দেখতে সমস্যা হয়।
শুধু তাই নয়, কানপুরের এই স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইটগুলোও ঠিক নেই। ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবর অনুযায়ী, ভিআইপি গ্যালারির ওপরের অংশে থাকা ফ্লাডলাইটের ৮টি বাতি নষ্ট অবস্থায় রয়েছে। ফলে আলোকস্বল্পতা দেখা দিলে খেলা চালিয়ে যাওয়া নিয়েও আছে শঙ্কা।
এই গ্রিনপার্কের স্টেডিয়ামে রয়েছে গ্যালারি নিয়েও সমস্যা। ভারতের উত্তর প্রদেশের পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্ট (পিডব্লিউডি) কানপুর স্টেডিয়ামের গ্যালারির ‘সি’ স্ট্যান্ডকে বিপজ্জনক বলে ঘোষণা দিয়েছে। কর্মকর্তাদের ধারণা, গ্যালারির ওই অংশে লোক সমাগম হলে পুরো জায়গাটি ধসে পড়তে পারে।
এমনকি বৃষ্টি শঙ্কা ও বৈরী আবহাওয়ার মাঝে গ্যালারির ওই অংশ বরাবর থাকা ফ্লাডলাইট ব্যবহার করা নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে উত্তর প্রদেশের রাজ্য সরকারের অধীনে থাকা সংস্থাটির কর্মকর্তারা জানান, ‘রিশভ পন্ত ছক্কা হাঁকানোর পর যদি ৫০ জন দর্শকও আনন্দ প্রকাশ করতে শুরু করে, তবে এই অংশটি ভেঙে পড়তে পারে।’
গ্যালারির ওই অংশের ৪ হাজার ৮০০ আসনের মাঝে ১ হাজার ৭০০ আসনের টিকিট ইতিমধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে। তবে উত্তর প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী অঙ্কিত চ্যাটার্জি টিকিট বিক্রির কথা উল্লেখ করে জানান, ‘পিডব্লিউডি কিছু ইস্যু তুলে ধরে। আর আমরা একমত যে ব্যালকনি সি এর সব টিকিট বিক্রি করা হবে না।’