ম্যানচেস্টার সিটি ০:০ ইন্টার মিলান
এটি হতে পারত ম্যানচেস্টার সিটির জার্সিতে তাঁর শততম গোলের ম্যাচ। কিন্তু গোল দূরে থাক, পুরো নব্বই মিনিট জুড়ে আর্লিং হলান্ড হয়ে রইলেন ‘অদৃশ্য’। ম্যাচে দুই দলের হয়ে যে ২২ জন খেলোয়াড় শুরুতে নেমেছেন, তাদের মধ্যে সর্বনিম্ন মাত্র ১৪ বার বলে পা লেগেছে তাঁর।
প্রিমিয়ার লিগে প্রথম চার ম্যাচে ৯ গোল করা হলান্ডের যখন এমন অবস্থা, দলও তখন ত্রাতা হিসেবে অন্য কাউকে পায়নি। পেপ গার্দিওলার দল তাই চ্যাম্পিয়নস লিগে নতুন মৌসুম শুরু করল পয়েন্ট ভাগাভাগি করে। ইতিহাদে সিটিকে রুখে দিয়ে গোলশূন্য ড্র করে ১ পয়েন্ট তুলে নিয়েছে ইন্টার মিলান।
আজকের আগে ম্যানচেস্টার সিটি ও ইন্টার মিলান সর্বশেষ খেলেছিল ২০২৩ চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে। সে বার তুরস্কে রদ্রির গোলে ১-০ গোলে জিতে নিজেদের ইতিহাসের প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছিল সিটি। এবার সেই তুলনায় মঞ্চ ছোট, লিগ পর্বে মৌসুমের প্রথম ম্যাচ।
তবে প্রিমিয়ার লিগে টানা চার জয়ে শুরু করা সিটিই ম্যাচ-পূর্ব বিশ্লেষণে এগিয়ে ছিল। কিন্তু সিমোন ইনজাগির দল ইতিহাদে বড় চ্যালেঞ্জই জানিয়েছে গার্দিওলার দলকে।
ম্যাচের প্রথমার্ধেই সিটির গোলমুখে ১০টি শট নেয় ইন্টার, যা ২০১৭ সালে মোনাকোর পর কোনো ইতিহাদে কোনো অতিথি দলের সর্বোচ্চ। সিটিও অবশ্য একের পর এক আক্রমণ করেনি তা নয়। তবে প্রথমার্ধের কোনো আক্রমণের ধারই ‘প্রায় গোল’ পর্যন্ত যায়নি।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণভাগে আরও তৎপর হয়ে ওঠে সিটি। এর মধ্যে ৬৯ মিনিটে ফিল ফোডেন ভালো সুযোগও পেয়েছিলেন। কিন্তু বল গোলকিপারের সোজাসুজি মেরে দিয়ে দলকে হতাশ করেন।
দ্বিতীয়ার্ধে গোলের বড় সুযোগ ছিল ইন্টার মিলানেরও। ৭৬ মিনিটে দারুণ জায়গায় বল পেয়ে সেটি উড়িয়ে মারেন ক্রসবারের ওপর দিয়ে। আর শেষ দিকে সিটিকে গোলের আক্ষেপে পোড়ান ইলকায় গুনদোয়ান। এক মৌসুম পর সিটিতে ফিরে আসা এই মিডফিল্ডার ইয়োস্কো গাভার্দিওলের কাছ থেকে বল পেয়েছিলেন ছোট বক্সে। ফাঁকায় থাকলেও জার্মান মিডফিল্ডার হেড নেন ইন্টার গোলকিপার ইয়ান সোমার বরাবর।
শেষ পর্যন্ত ঘরের মাঠে ১ পয়েন্টের হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় সিটিকে। পেপ গার্দিওলার অধীনে খেলা সিটি ঘরের মাঠে খেলা ৪২ ম্যাচের মধ্যে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার গোলহীন থাকল। প্রথমটি ছিল ২০২২ সালে স্পোর্তিংয়ের সঙ্গে। অপর দিকে আর্সেনাল, চেলসি ও লিভারপুলের পর চতুর্থ ইংলিশ ক্লাবের মাঠে এসে গোল হজম না করে ফিরছে ইন্টার মিলান।