মিয়া মোহাম্মদ ছিদ্দিক কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
১০বছর বয়সি শিশু জিদনী আক্তার। শিশু জিদনীকে যেন মৃত্যুই টেনে নিয়েছিল কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীর অজপাড়াগাঁ চাতল থেকে রাজধানীর ঢাকায়। ঢাকার লালবাগ এলাকায় দূর সম্পর্কের এক ফুফুর বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করত সে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে সে লাশ হয়ে ফিরেছে নিজ বাড়িতে। তারা সারা শরীরে নতুন-পুরাতন অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন। জিদনীর বাবা শরীফ মিয়া একজন দরিদ্র কাঠুরিয়া। শরীফ মিয়া জানান,অভাবের সংসার তার।
লেখাপড়া করাবেন ও ভালোভাবে মানুষ করবেন বলে মেয়ে জিদনীকে বছর খানেক আগে বাসায় কাজ করতে নিয়ে যান তার দূর সম্পর্কের বোন আছমা আক্তার। আছমার স্বামী নূরুজ্জামান ঢাকার লালবাগে ব্যবসা করেন। তবে তারা কোনো টাকা পাঠাননি।
আছমার মোবাইল ফোনে মাঝে মধ্যে কথা হয়েছে মেয়ের সাথে। মেয়েকে দেখতে ঢাকায় যেতে চাইলে ঠিকানা দিতে গড়িমসি করতেন আছমা। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে আছমার ছোট ভাই মুজাহিদসহ তিনজন অ্যাম্বুলেন্স করে আমার মেয়ে জিদনীর লাশ বাড়িতে নিয়ে আসে। তারা জানান ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হঠাৎ করে মারা গেছে সে।
এসময় স্বজনরা লাশের শরীরে আঘাতের ও আাগুনে পোড়ানোর ক্ষত চিহ্ন দেখতে পায়। এ বিষয়ে তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা নানা তালবাহানা করে দ্রুত সটকে যায়।এ সময় মোজাহিদ নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে দেয় স্থানীয়রা।
শুক্রবার ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাব ইন্সপেক্টর মোহসীন জানান, প্রাথমিকঅবস্থায় এটি একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু বলে পরিলক্ষিত হচ্ছে। লাশের সুরতহালে দেখা যাচ্ছে শিশুটির সমস্ত শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন ও গরম পানি দিয়ে চামড়া ঝলসানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে মডেল থানার ওসি গোলাম সারোয়ার বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্যকিশোরগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ডিএমপি লালবাগ থানাকে অবহিত করা হয়েছে ।