মনিরুজ্জামান খান গাইবান্ধা,
বাংলাদেশের জনসাধারণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে চলমান রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভুয়া নার্স অপসারণসহ ১৭ দফা দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে সচেতন নার্স ও মিডওয়াইফ সমাজ গাইবান্ধা।
আজ( ২২ আগষ্ট) বুধবার পৌর পার্ক থেকে বিভিন্ন নার্সিং ইনিষ্টিউটের শিক্ষার্থীরা একটি মিছিল নিয়ে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। পরে তারা সিভিল সার্জন বরাবরে ১৭ দফা সম্বিলিত স্মারকলিপি প্রদান করে। দাবি সমূহ হলো- ১.বাংলাদেশ নার্সিং এন্ড মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার পদে অবশ্যই একজন যোগ্য নার্স নিয়োগ দিতে হবে এবং বর্তমানে কর্মরত দূর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা কর্মচারীদের অপসারণ করতে হবে,২,পেশেন্ট কেয়ার টেকনোলজিস্টদের ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এন্ড মিডওয়াইফারি সমমানের প্রজ্ঞাপন বাতিল করতে হবে। ৩,ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এন্ড মিডওয়াইফারি এবং ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্স দুটির সনদের মান স্নাতক (পাস) / Degree (Pass) কোর্স সনদের সমমান করতে হবে।
৪,ভূয়া নার্স নির্মূলে বাংলাদেশ নার্সিং এন্ড মিডওয়াফারি কাউন্সিল এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সমন্বয়ে প্রতি জেলায় সিভিল সার্জন, ডিপিএইচএন এবং তরুণ নার্স/শিক্ষার্থীদের নিয়ে সার্বজনিন মনিটরিং সেল গঠন করে বছরে অন্তত ২বার ঝটিকা অভিযানের মাধ্যমে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে।
৫,উচ্চশিক্ষা সহ সকল ক্ষেত্রে ভর্তির ক্ষেত্রে ছেলে ১০% মেয়ে ৯০% কোটা বৈষম্য বাতিল করতে হবে।৬,বহির্বিশ্বে নার্সদের জন্য কর্মসংস্থানের পথ সুগম করতে সরকারীভাবে উদ্দ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।৭,স্টাইপেন্ড এবং ইন্টার্ন ভাতা বৃদ্ধি করতে হবে।৮, প্রাইভেট শিক্ষা প্রতিষ্টানের শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে এবং সরকারীভাবে প্রাইভেট প্রতিষ্টানের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
৯,বেসরকারী হাসপাতালে নার্সদের জন্য সরকারী বেতন কাঠামো অনুযায়ী সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে। ১০, সরকারি হাসপাতালে নার্সের ঘাটতি পূরণের জন্য প্রস্তাবিত ১০,০০০ (দশ হাজার) শূন্যপদে দ্রুত নিয়োগ বাস্তবায়ন করতে হবে এবং আরো ৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার) শূন্য পদ তৈরি করতে হবে।১১,নার্সিং এ বিসিএস চালু করতে হবে এবং পদোন্নতির ক্ষেত্রে বিসিএস হতে এবং বিভাগীয় পরিক্ষার মাধ্যমে নির্দিষ্ট হারে পদ বন্টন করতে হবে।
১২, নিয়োগবিধি ২০১৬ বাস্তাবায়নের মাধ্যমে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সহ সকল পরিচালক পদে নার্স নিয়োগ করতে হবে এবং সকল শূন্য পদে পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ করতে হবে, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের দূর্নীতি প্রতিরোধে প্রতি ২ বছর অন্তর অন্তর সকল কর্মকর্তা কর্মচারিদের পরিবর্তন করতে হবে।
১৩,স্বৈরাচার সরকার কর্তৃক জোর পূর্বক চাপিয়ে দেওয়া নার্সদের জন্য নির্ধারিত পোশাকের রং (জলপাই) পরিবর্তন করতে হবে, মেয়ে নার্সদের জন্য অবশ্যই সাদা এপ্রোন এবং হিজাব নিশ্চিত করতে হবে।১৪, নার্সদের ঝুঁকিভাতা প্রদান করতে হবে। ১৫, বদলী নীতিমালা সহজ করতে হবে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের ফরওয়ার্ডি প্রথা বাতিল করতে হবে, নার্সিং এবং মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরকে বদলির স্বতন্ত্র ক্ষমতা প্রদান করতে হবে। ১৬, প্রস্তাবিত নিয়োগ বিধিমালার অনুমোদন এবং বাস্তবায়ন করতে হবে।
১৭। উপজেলা সহ সকল পর্যায়ের হাসপাতালে নার্সিং প্রশাসনিক সক্ষমতা (ডিডিওশীপ) প্রদান করতে হবে।
পাশাপাশি মানবন্ধনে বক্তারা বলেন স্বাস্থ্যসেবা খাতে নার্সিং সেবার সংস্কারের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল আইন ২০১৬-এর যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে ভুয়া নার্স নির্মূল অভিযান পরিচালনা করার পাশাপাশি,হাসপাতালের মালিকেরা নামমাত্র বেতনে নিয়োগ দেয়া ভুয়া নার্সদের কারনে বিএনএমসি কর্তৃক নিবন্ধিত নার্সরা বেসরকারী হাসপাতালে উপযুক্ত বেতন ও সম্মান পাচ্ছেন না এবং অদক্ষ ও ভুয়া নার্স দিয়ে ঝুঁকিপূর্ন সেবা দিয়ে জনগণের সাথে করা প্রতারণার উপযুক্ত বিচার দাবি করেন।
গাইবান্ধায় বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভুয়া নার্স অপসারণসহ ১৭ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে সচেতন নার্স।
মনিরুজ্জামান খান গাইবান্ধা, বাংলাদেশের জনসাধারণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে চলমান রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভুয়া নার্স অপসারণসহ ১৭ দফা দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে সচেতন নার্স ও মিডওয়াইফ সমাজ গাইবান্ধা।
আজ( ২২ আগষ্ট) বুধবার পৌর পার্ক থেকে বিভিন্ন নার্সিং ইনিষ্টিউটের শিক্ষার্থীরা একটি মিছিল নিয়ে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। পরে তারা সিভিল সার্জন বরাবরে ১৭ দফা সম্বিলিত স্মারকলিপি প্রদান করে। দাবি সমূহ হলো- ১.বাংলাদেশ নার্সিং এন্ড মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার পদে অবশ্যই একজন যোগ্য নার্স নিয়োগ দিতে হবে এবং বর্তমানে কর্মরত দূর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা কর্মচারীদের অপসারণ করতে হবে,২,পেশেন্ট কেয়ার টেকনোলজিস্টদের ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এন্ড মিডওয়াইফারি সমমানের প্রজ্ঞাপন বাতিল করতে হবে। ৩,ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এন্ড মিডওয়াইফারি এবং ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্স দুটির সনদের মান স্নাতক (পাস) / Degree (Pass) কোর্স সনদের সমমান করতে হবে।
৪,ভূয়া নার্স নির্মূলে বাংলাদেশ নার্সিং এন্ড মিডওয়াফারি কাউন্সিল এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সমন্বয়ে প্রতি জেলায় সিভিল সার্জন, ডিপিএইচএন এবং তরুণ নার্স/শিক্ষার্থীদের নিয়ে সার্বজনিন মনিটরিং সেল গঠন করে বছরে অন্তত ২বার ঝটিকা অভিযানের মাধ্যমে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে।
৫,উচ্চশিক্ষা সহ সকল ক্ষেত্রে ভর্তির ক্ষেত্রে ছেলে ১০% মেয়ে ৯০% কোটা বৈষম্য বাতিল করতে হবে।৬,বহির্বিশ্বে নার্সদের জন্য কর্মসংস্থানের পথ সুগম করতে সরকারীভাবে উদ্দ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।৭,স্টাইপেন্ড এবং ইন্টার্ন ভাতা বৃদ্ধি করতে হবে।৮, প্রাইভেট শিক্ষা প্রতিষ্টানের শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে এবং সরকারীভাবে প্রাইভেট প্রতিষ্টানের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
৯,বেসরকারী হাসপাতালে নার্সদের জন্য সরকারী বেতন কাঠামো অনুযায়ী সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে। ১০, সরকারি হাসপাতালে নার্সের ঘাটতি পূরণের জন্য প্রস্তাবিত ১০,০০০ (দশ হাজার) শূন্যপদে দ্রুত নিয়োগ বাস্তবায়ন করতে হবে এবং আরো ৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার) শূন্য পদ তৈরি করতে হবে।১১,নার্সিং এ বিসিএস চালু করতে হবে এবং পদোন্নতির ক্ষেত্রে বিসিএস হতে এবং বিভাগীয় পরিক্ষার মাধ্যমে নির্দিষ্ট হারে পদ বন্টন করতে হবে।
১২, নিয়োগবিধি ২০১৬ বাস্তাবায়নের মাধ্যমে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সহ সকল পরিচালক পদে নার্স নিয়োগ করতে হবে এবং সকল শূন্য পদে পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ করতে হবে, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের দূর্নীতি প্রতিরোধে প্রতি ২ বছর অন্তর অন্তর সকল কর্মকর্তা কর্মচারিদের পরিবর্তন করতে হবে।
১৩,স্বৈরাচার সরকার কর্তৃক জোর পূর্বক চাপিয়ে দেওয়া নার্সদের জন্য নির্ধারিত পোশাকের রং (জলপাই) পরিবর্তন করতে হবে, মেয়ে নার্সদের জন্য অবশ্যই সাদা এপ্রোন এবং হিজাব নিশ্চিত করতে হবে।১৪, নার্সদের ঝুঁকিভাতা প্রদান করতে হবে। ১৫, বদলী নীতিমালা সহজ করতে হবে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের ফরওয়ার্ডি প্রথা বাতিল করতে হবে, নার্সিং এবং মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরকে বদলির স্বতন্ত্র ক্ষমতা প্রদান করতে হবে। ১৬, প্রস্তাবিত নিয়োগ বিধিমালার অনুমোদন এবং বাস্তবায়ন করতে হবে।
১৭। উপজেলা সহ সকল পর্যায়ের হাসপাতালে নার্সিং প্রশাসনিক সক্ষমতা (ডিডিওশীপ) প্রদান করতে হবে।
পাশাপাশি মানবন্ধনে বক্তারা বলেন স্বাস্থ্যসেবা খাতে নার্সিং সেবার সংস্কারের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল আইন ২০১৬-এর যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে ভুয়া নার্স নির্মূল অভিযান পরিচালনা করার পাশাপাশি,হাসপাতালের মালিকেরা নামমাত্র বেতনে নিয়োগ দেয়া ভুয়া নার্সদের কারনে বিএনএমসি কর্তৃক নিবন্ধিত নার্সরা বেসরকারী হাসপাতালে উপযুক্ত বেতন ও সম্মান পাচ্ছেন না এবং অদক্ষ ও ভুয়া নার্স দিয়ে ঝুঁকিপূর্ন সেবা দিয়ে জনগণের সাথে করা প্রতারণার উপযুক্ত বিচার দাবি করেন।