ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সিদ্ধকাঠি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কাজী জিয়াউল ইসলাম ফুয়াদকে (৪০) নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা মামলার আসামিরা জামিনে বেরিয়ে বাদী ও তার পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে নিহত ফুয়াদের পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ তোলা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে আসামিদের হুমকির কারণে বর্তমানে তারা নিরাপত্তাহীনতায় থাকার কথাও জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ফুয়াদ কাজীর মেয়ে রাইসা কাজী বলেন, গত ৭ জানুয়ারি আমার বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। আমার বাবার হত্যার মূল পরিকল্পনা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জেসমিন আক্তার, রফিক মেম্বার, নৈশপ্রহরী শাহাদাত, মোয়াজ্জেম, সাইফুল ইসলামসহ সকল আসামিরা জামিনে মুক্তি পেয়েছে। তারা এলাকায় ফিরে আমাদের পরিবার সদস্যদের হত্যাসহ বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। এতে বাবার হত্যা মামলার বাদি আমার বড় চাচা ফয়সাল কাজী সবসময় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন আসামিরা। আমার মা, আমার ভাই ও ছোট বোন বর্তমানে আসামিদের ভয়ে পৈতৃক নিবাস ছেড়ে বরিশালে নানার বাড়িতে অবস্থান করছি।
তিনি আরও জানান, আগামী ৩০ জুন আমার এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। আসামিদের উপর্যুপরি হুমকি-ধমকিতে পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতেও ভয় পাচ্ছি। যে কোনো সময় তারা আমার ক্ষতি করতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে মামলার বাদী নিহত ফুয়াদ কাজীর বড় ভাই ফয়সাল কাজী অভিযোগ করে বলেন, আসামিরা জামিন নিয়ে বের হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের দিয়ে মামলা তুলে নিতে চাপ প্রয়োগ করেছেন। এ ঘটনায় গত ২৪ জুন ঝালকাঠি সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছি। আমি আমার ও ভাইয়ের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা চাই।
সংবাদ সম্মেলনে নিহত ফুয়াদ কাজীর তিন সন্তানসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিল।
জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করে ঝালকাঠি সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আরিফিন ইসলাম বলেন, ফয়সাল কাজীর জিডি তদন্ত করার জন্য আদালতে অনুমতির জন্য আবেদন করা হয়েছে।