রিপন মিয়া, ফুলছড়ি (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ
সারা দেশের ন্যায় গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্লোগান “বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না” এমন নির্দেশনা বাস্তবায়নে জমির মালিকানা সহ পাকা ঘর পেলেন ৫৮ টি পরিবার। আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প, গুচ্ছগ্রাম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এই তিন সংস্থা সারাদেশে সরকারের খাস জমিতে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণ করছে। এরই অংশ হিসেবে ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নে ৩০টি ও এরেন্ডাবাড়ি ইউনিয়নে ২৮টি মোট ৫৮ টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ জুন ) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে গৃহ হস্তান্তর কর্মসূচির উদ্বোধনের পর পরেই ফুলছড়ি উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা হলরুমের সভাকক্ষে ভূমিহীন এবং গৃহহীনদের মাঝে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়।
ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার জগৎবন্ধু মন্ডল’র সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, গাইবান্ধা জেলার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক শরিফুল ইসলাম, ফুলছড়ি উপজেলা কৃষি অফিসার মিন্টু মিয়া, উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিসার জহিরুল ইসলাম, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাজিফুজ্জামান বসুনিয়া, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রাসেল বিন ওয়াহেদ (ফিরোজ), উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রাশেদা বেগম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার শহিদুজ্জামান শামীম, উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিডি) অফিসার রফিকুল ইসলাম, উপজেলা আইসিটির সহকারী প্রোগ্রামার কাজল মিয়া, সাত ইউপি’র চেয়ারম্যান গণ, ফুলছড়ি উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ সহ প্রমুখ।
ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার জগৎবন্ধু মন্ডল বলেন, দুই শতক জায়গায় নির্মিত প্রতিটি ঘর, দুই কক্ষ বিশিষ্ট ঘরের সঙ্গে একটি রান্নাঘর, একটি সংযুক্ত টয়লেট, ঘরের সামনে একটি বারান্দা ও ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা রাখা হয়েছে। প্রতিটি পরিবার পানীয় জল এবং বিদ্যুৎ সুবিধা পাবে। অত্যন্ত সচ্ছতার সাথে ভূমিহীন, গৃহহীন, বিধবা, অসহায়, বয়স্ক এবং প্রতিবন্ধীদের অগ্রাধিকার দিয়ে বিনামূল্যে ঘরগুলো দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ১ম পর্যায়ে ৭৫ টি, ২য় পর্যায়ে ৩৬০ টি, ৩য় পর্যায়ে ৩৩০ টি, ৪র্থ পর্যায়ে ১৪৩ টি ‘ক’ শ্রেণির ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে গৃহ প্রদান করা হয়েছে।